ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নদী সব নিছে গা, শুধু থাহার ঘরটাই আছে

নদী সব নিছে  গা, শুধু থাহার ঘরটাই আছে

নালিতাবাড়ীর ফকিরপাড়া গ্রামে ভোগাই নদীর তীরে নিজ বাড়ির সামনে আছিয়া বেগম সমকাল

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪ | ০০:৩১

‘ভাঙনের ডরে সারারাত চোখে ঘুম আসে না ভয়ে। এই বুঝি ঘরটা ভাইঙা পরে নদীত। ভাঙতে ভাঙনে নদী তো সব নিছে গা। অহন শুধু থাহার ঘরটাই আছে। তার পরও আমগরে খোঁজখবর নিবার কেউ আহে না।’ কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের ৭০ বছর বয়সী বিধবা নারী আছিয়া বেগম।
সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলের তোড়ে আছিয়া বেগমের বাড়িসংলগ্ন ৫০ মিটার বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বৃদ্ধার ২ শতাংশ জমির ওপর থাকা ঘর ঝুঁকিতে রয়েছে। বিলীন হওয়ার শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও ঘরটিতে থাকছে পাঁচ সদস্যের পরিবারটি। 

ফকিরপাড়া গ্রামের ভোগাই নদীর তীরের জমিটিতে এক ছেলে, তাঁর স্ত্রী ও দুই নাতনি নিয়ে বসবাস করেন আছিয়া। তিনি বলছিলেন, ১৮ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার সময় ২০ শতাংশ ভিটে রেখে যান। সেটি ভাঙতে ভাঙতে মাত্র ২ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এটুকুও নদী গিলে ফেললে গেলে পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীরা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ভোগাই নদীতে আছিয়া বেগমের ভিটেবাড়ি ভাঙছে। 
আট বছর ধরে তাঁর একমাত্র ছেলে বজলুর কিডনি রোগে আক্রান্ত। আগে দিনমজুরি করলেও এখন কোনো কাজে যেতে পারেন না। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসারের হাল ধরে রেখেছেন আছিয়া। ইউএনও মো. মাসুদ রানা বলেন, পরিবারটির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
 

আরও পড়ুন

×