রাঙামাটিতে মানববন্ধনে পাহাড়ি নেতারা
শাসনবিধি ১৯০০ বাতিল হলে পাহাড়ে শান্তি প্রচেষ্টা ব্যাহত হবে

ছবি: সমকাল
রাঙামাটি অফিস
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪ | ২২:৪৪
উচ্চ আদালতে একটি মামলার মাধ্যমে রাষ্ট্রের অদৃশ্য শক্তি পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে। এ শাসনবিধি বাতিল করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না। এটি বাতিল হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রীতিপ্রথার প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পাশাপাশি পাহাড়ে প্রচণ্ড অশান্তি সৃষ্টি হবে। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তা এখনও প্রক্রিয়াধীন। এই শাসনবিধি বাতিল হলে সে প্রচেষ্টা ব্যাহত হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসন চত্বরে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। এছাড়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। পাহাড়ের বিভিন্ন সংগঠন ও চাকমা সার্কেলের প্রথাগত প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান।
আরও বক্তব্যে দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চল শাখা সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের রাঙামাটি সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, কালাপাকুজ্জ্য হেডম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন সিএইচটি হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শান্তিবিজয় চাকমা।
এদিকে একই দাবিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে রাঙামাটি সদরের কতুকছড়ি, বাঘাইছড়ি, কাউখালী ও নানিয়ারচর উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। কতুকছড়িতে বড় মহাপুরুম উচ্চবিদ্যালয় মূল ফটকে সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের জেলা সভাপতি রিনিশা চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ধর্মশিং চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা সভাপতি রিমি চাকমা ও পিসিপির জেলা সভাপতি তনুময় চাকমা।
সমাবেশে ইউপিডিএফ নেতারা বলেন, পাহাড়ি জনগণ যুগ যুগ ধরে নিজেদের প্রথাগত আইন মেনে এ অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। শাসনবিধি ১৯০০ বাতিলের মাধ্যমে একটি চক্র এ অঞ্চলের রাজা, হেডম্যান ও কার্বারি পদবি বিলুপ্তিসহ পাহাড়িদের প্রথাগত আইন, রীতিনীতি ও ঐতিহ্য-সংস্কৃতি চিরতরে মুছে দিতে চাইছে। সরকার যদি এ শাসনবিধি বাতিলের মাধ্যমে পাহাড়িদের প্রথাগত রীতিনীতি পদ্ধতি ও অধিকার হরণ করতে চায়, তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ তা কখনও মেনে নেবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।