বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
চট্টগ্রাম নগরীর ৯ পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি আ.লীগের

দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ের সামনের চত্বরসহ কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ছবি: সমকাল
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪ | ১৭:০৫ | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪ | ১৭:০৬
বিএনপি-জামায়াত চক্রের নৈরাজ্য, নাশকতার অপচেষ্টা প্রতিহত করা এবং জনগণের জান-মাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় চট্টগ্রাম নগরীতে অবস্থান ও সমাবেশের কর্মসূচি পালন করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ।
শনিবার নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ের সামনের চত্বরসহ ৯টি পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে তারা। অপর আটটি পয়েন্ট হচ্ছে- বহদ্দারহাট মোড়, অক্সিজেন মোড়, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, আন্দরকিল্লা মোড়, শাহ আমানত সেতু গোলচত্বর, আগ্রাবাদের বাদামতল মোড়, ইপিজেড ও একে খান মোড়। এর আগে গত ৩১ জুলাই নগরীর ১০টি পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ। নগর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক নেতাকর্মীরা এসব পয়েন্টে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
শনিবার মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় নগরী দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে দলের কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা সফল আলী, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
আজ নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল হাসানের সভাপতিত্বে ও মিথুন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, তথ্য ও গবেষণা সম্পদক চন্দর ধর, উপ-দপ্তর সম্পাদক জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, হাজী বেলাল আহমদ, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছির বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের মূলদাবিগুলো পূরণ করার পর তাদের অন্যান্য দাবিগুলোও সরকার মেনে নিয়েছে। চিহ্নিত দুস্কৃতিকারীদের ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরপরও আন্দোলনকারিদের একাংশ একটি অরাজনৈতিক ইস্যুকে পুঁজি করে নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবিরকে মাঠে নামিয়েছে। তারা বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাদের এই কলঙ্ককের দাগ তারা যদি নিজেরাই মুছে ফেলতে না চায় তাহলে তারা ইতিহাসের পাতায় স্বাধীনতাবিরোধী খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হবে। এজন্য নতুন প্রজন্ম অবশ্যই একদিন আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।’
এ সময় তিনি দলের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তির আস্তানাগুলো চিহ্নিত করে এবং তাদের খুঁজে বের করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে বলেন।