ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফেঞ্চুগঞ্জ

লাপাত্তা অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা

লাপাত্তা অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা

ম্যাপ

ফেঞ্চুগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪ | ০০:৫৪

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই গা-ঢাকা দিয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। যাদের বড় একটি অংশ কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে যুক্ত ছিলেন।

বালু সিন্ডিকেটের কাউকেই এখন আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ রয়েছে। টানা ২০ বছর ধরে উপজেলার সুলতানপুর বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দোহাই দিয়ে বালু তোলার কাজ করেছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের অনুসারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছিলেন সবার আগে। আইনের তোয়াক্কা না করে নানা অজুহাতে তারা কুশিয়ারা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করেছেন।

সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাইন বোর্ড লাগিয়ে চক্রটি বালু উত্তোলন ও বিক্রির ব্যবসা চালিয়েছে। হঠাৎ করে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরেই বালু ব্যবসায় ছেদ পড়ে। গা-ঢাকা দেন চক্রের সদস্যরা।

সূত্র জানায়, সর্বশেষ কুশিয়ারা নদী থেকে উত্তোলিত এক লাখ ৪০ হাজার ফুট বালু নদী-তীরবর্তী ইসলাম বাজার এলাকায় স্তূপ করে রাখা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ফুট বালু লুট করে চক্রের সদস্যরা। বাকি এক লাখ ফুট বালু স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের প্রয়োজনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির ব্যাপারে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশ হলেও এমপির প্রভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নদীভাঙনের শিকার ফেঞ্চুগঞ্জের উজানগঙ্গাপুর গ্রামের রুবেল মিয়া জানান, প্রতি বছর বর্ষা শেষে নদীভাঙনে তাদের গ্রামের অনেক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা এজন্য দায়ী। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে পাউবোর কার্যক্রম চলমান থাকলেও এসব বালু উত্তোলনকারী তাদের তালিকাভুক্ত কোনো ঠিকাদার নয়। তারা নিজেদের স্বার্থে বালু তুলেছে। এ ব্যাপারে জানতে সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করেও সাড়া মেলেনি।

আরও পড়ুন

×