এক মাসেও যোগ দেয়নি হাইওয়ে পুলিশ

এক মাস পেরিয়ে গেলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের শিমরাইল ক্যাম্পে হাইওয়ে পুলিশ যোগ না দেওয়ায় মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিনই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে গতকাল বুধবার ১২ কিলোমিটারজুড়ে ছিল যানজট। মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দে সকালে একটি কাভার্ডভ্যান উল্টে গেলে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, সানারপাড়, শিমরাইল, মেঘনাঘাট হয়ে তারাব বিশ্বরোড পর্যন্ত। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ যানজট ছিল। শিমরাইলে হাইওয়ে পুলিশ না থাকায় যানজট আরও দীর্ঘ হতে থাকে। 

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি রেজাউল হক বলেন, তারা রেকার দিয়ে উল্টে যাওয়া গাড়িটি সরিয়ে দেওয়ার পর যানজট কমতে থাকে। তবে দুপুরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতেও সময় লাগে।

মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, শিমরাইল মোড় ও সানারপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের ওপর যেখানে সেখানে গাড়ির স্ট্যান্ড করা হয়েছে। এক মাস ধরে শিমরাইল ক্যাম্পের হাইওয়ে পুলিশের কোনো সদস্য সাইনবোর্ড ও শিমরাইল এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন না। তারা মহাসড়কের এই পয়েন্টে আর ফিরবেন কিনা, তা নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ না থাকায় যানজট এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান পরিবহন মালিক শাহ আলম, কামরুল ও আবদুল বারেক। তারা আরও জানান, হাইওয়ে পুলিশ এক মাস ধরে শিমরাইল ক্যাম্পে না থাকায় থ্রি হুইলার ও ইজিবাইকের দখলে মহাসড়কের এই অংশ। চট্টগ্রামগামী বাসের যাত্রী আয়শা আক্তার মনি ও শিরিনা বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে তারা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে যানজটে পড়ে রয়েছেন।

নোয়াখালীগামী বাসের যাত্রী আবদুস সাত্তার পরিবার পরিজন নিয়ে একুশে পরিবহনে উঠেছেন সাইনবোর্ড থেকে। তিনি বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টা যানজটে আটকে রয়েছি। হাইওয়ে পুলিশ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। 

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ টিআই শরফুদ্দিন জানান, আন্দোলনের সময় আগুনের যে ভয় পুলিশ পেয়েছেন, সে কারণে তারা এখানে আসছেন না। তবে তারা রূপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান।