ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বেহাল সড়কের গর্তে জমে পানি, চলাচলে দুর্ভোগ

বেহাল সড়কের গর্তে জমে  পানি, চলাচলে দুর্ভোগ

মদনের বাজিতপুর এলাকায় বেহাল মদন-ফতেপুর সড়ক পার হচ্ছে একটি ইজিবাইক সমকাল

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ০০:৩২

দীর্ঘদিন ধরে মদন-ফতেপুর সড়কটি সংস্কার করা হয় না। সড়কে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় কাদা-পানি জমে থাকে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় মানুষ কষ্ট করে যাতায়াত করছেন। অতিরিক্ত টাকা ছাড়া গাড়ির চালকরাও যাত্রী নিয়ে যেতে চান না। কথাগুলো মদন-ফতেপুর সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী আবদুল্লাহ ও আমিনুল হকের। কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি তাদের।
মদন-ফতেপুর সড়কে বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরেই। ফলে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। ১৩ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়েছে বেশ কিছু স্থানে। অথচ পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের মানুষ সড়কটি ব্যবহার করেন। যাতায়াতের বিকল্প কোনো মাধ্যম না থাকায় বেহাল সড়কটি দিয়েই ভোগান্তি শিকার করে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মদন কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মদন-ফতেপুর ১৩ কিলোমিটার সড়ক পৌর সদরের সঙ্গে তিনটি ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে। সদর, তিয়শ্রী ও ফতেপুর ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের লোকজন এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। ২০০১ সালে পাকাকরণের কাজ সম্পন্ন করা হলেও পরে ২০১৬ সালে সংস্কার করা হয়। 
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ ও ভারী যানবাহন চলাচল করায় অল্প সময়েই সড়কটির বেহাল হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। এ অবস্থার মধ্যে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করছেন এলাকার মানুষ। তবে চলাচলে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় অতিরিক্ত ভাড়াও গুনতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সরেজমিন সড়কের কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা গেছে, কার্পেটিং ও ইট-খোয়া উঠে সড়কের অনেক স্থানে গর্ত হয়ে গেছে। সেখানে বৃষ্টির পানি জমে আছে। কয়েকটি স্থানে দুই পাশ ভেঙে মাটি সরে গেছে। মাঝে অবশিষ্ট কয়েক ফুট জায়গা দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এ ছাড়া পুরো সড়কটি খানাখন্দে ভরা। বড় গাড়ি দূরে থাক, ছোট গাড়িও ভালোভাবে চলার অবস্থা নেই অনেক স্থানে।
ফতেপুর থেকে মদন ৪০ মিনিটের সড়ক পার হতে দুই ঘণ্টা লেগে যায় জানিয়ে অটোরিকশাচালক আকাশ মিয়া বলেন, ভাঙা সড়কে গাড়িরও ক্ষতি হচ্ছে। চালক ফারুক মিয়া ও গোলাপ মিয়ার ভাষ্য, এ সড়ক দিয়ে গাড়ি চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যাত্রীসহ গাড়ি চালাতে গিয়ে চালকরা কষ্টে আছেন।
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার সফি বলেন, উপজেলা সদরে যাওয়ার জন্য তাঁর ইউনিয়নের আটটি গ্রামের বিকল্প কোনো সড়ক নেই। এটিসহ তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ২৫টি গ্রামের লোকজন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির বেহাল অবস্থা থাকলেও সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে মানুষ যাতায়াত করছেন। তারা চান, সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হোক।
সড়কটির গুরুত্ব অনুধাবন করে কাজের প্রাক্কলন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া পিয়াল। তিনি বলেন, প্রকল্প অনুমোদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সড়কটির বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করেন ইউএনও শাহ আলম মিয়া। তিনি বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×