ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী আনছারুল আলম বিমানবন্দরে আটক

দুই ব্যাংকে ঋণ ২ হাজার কোটি টাকা

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী  আনছারুল আলম  বিমানবন্দরে আটক

আনছারুল আলম চৌধুরী

 চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ০০:৪২

চট্টগ্রামে বিমানবন্দর থেকে ব্যবসায়ী আনছারুল আলম চৌধুরীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার শাহ আমানত বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ইসলামী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। 

আনছারুল আলমের গ্রামের বাড়ি রাউজান উপজেলার বাগোয়ান কোয়েপাড়ায়। চট্টগ্রাম নগরীর পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র খাতুনগঞ্জে আনসার ট্রেডিং, আনসার এন্টারপ্রাইজ, ইনহেরেন্ট ট্রেডিংসহ নামে-বেনামে তাঁর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে লোপাটের অভিযোগ আছে।
নগর পুলিশের বন্দর জোনের উপকমিশনার শাকিলা সুলতানা বলেন, ‘ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে আনছারুল আলমের দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। তাঁকে পতেঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’

অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ১৬৩০ কোটি  টাকা ঋণ 
২০২১ সালে বিভিন্ন মেয়াদে ইসলামী ব্যাংকের চাক্তাই শাখা থেকে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ নেয় ইনহেরেন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড ইমপেক্স লিমিটেড। পরের বছর মার্চে তা বাড়িয়ে ১৬৩০ কোটি টাকা করা হয়। আসাদগঞ্জের রামজয় মহাজন লেনে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা উল্লেখ করা হয়। বাস্তবে এই সড়কে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা এই প্রতিষ্ঠানের নামও শোনেনি।  আনছারুল আলমের এই প্রতিষ্ঠানকে করোনাকালে ১৭০ কোটি টাকা প্রণোদনাও দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ২০২২ সালে একই শাখা থেকে ঋণ সুবিধা নিয়ে এই প্রণোদনার টাকা অ্যাডজাস্ট করা হয়েছে। হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা নেওয়া এই প্রতিষ্ঠানটির হিসাব খোলার ফরমে মাসিক আয় দেখানো হয় মাত্র দুই লাখ টাকা।

জনতা ব্যাংকের পাওনা ৩৪০ কোটি টাকা
২০২২ সালের ৩ নভেম্বর আনছারুল আলম জনতা ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। এতে তিনি নিজেকে ঢেউটিন আমদানিকারক উল্লেখ করেন। এর তিন দিন পর ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের কয়েকটি শাখায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার এফডিআর খোলা হয় আনছারুলের প্রতিষ্ঠানের নামে। এফডিআর খোলার ১০ দিন পর ১৭ নভেম্বর জনতা ব্যাংক থেকে এক বছর মেয়াদি ৩৪০ কোটি টাকা ঋণ নিতে  আবেদন করেন আনছারুল। এর বিপরীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকে খোলা সেই এফডিআরগুলো জমা দেওয়া হয়।  আবেদনের এক সপ্তাহের মধ্যেই ঋণ অনুমোদন দেয় জনতা ব্যাংক।
 

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×