চট্টগ্রামে ৭ বছর আগে ছাত্রদলনেতা নুরু হত্যা
সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। ছবি- সংগৃহীত
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৭:২৬
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে খুনের ঘটনায় রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ঘটনার সাত বছর পর থানায় এ মামলা দায়ের হলো। রোববার রাতে চকবাজার থানায় নিহতের স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করলেও মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
অন্য আসামিরা হলেন- রাউজান নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এবং বর্তমানে চুয়েট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাবেদ, বাবুল মেম্বার, নাসের প্রকাশ টাইগার নাসের, লিটন, তৈয়ব, ফরিদ, মামুন, আবু জাফর রাশেদ, ইয়ার মোহাম্মদ, সেকান্দর, জসিম, খালেদ, বাবুল রব্বানি, হাসান মোহাম্মদ নাসির ও মোর্শেদ।
ভিকটিম ছাত্রদলনেতা নুরুল আলমের স্ত্রী সুমি আক্তার বলেন, আমার সামনে থেকে স্বামীকে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
চকবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে প্রধান করে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ নগরের চকবাজার থানাধীন চন্দনপুরার পশ্চিম গলির মিন্নি মহল বাসায় রাত ১১টা ৪৫মিনিটে এ বি এম ফজলে করিমের নির্দেশে রাউজান থানার এসআই জাবেদ অফ হোয়াইট কালারের টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় অস্ত্র হাতে এসে দরজায় নক করেন। তখন নুরুর ভাগ্নে রাশেদুল ইসলাম বাসার প্রধান দরজা খুলে দেন। এ সময় বাসায় ঘুমন্ত নুরুল আলমকে বিছানা থেকে টেনে তুলে হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন এসআই জাবেদ। তখন পরিবারের সদস্যদের পুলিশ জানায়, পরোয়ানা মূলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যরা পরোয়ানা দেখতে চাইলে পুলিশ দেখায়নি। বাসার তিনটি মোবাইল ফোনসহ নুরুকে বাইরে অপেক্ষমাণ একটি সাদা রঙয়ের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে নোয়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাপড় দিয়ে চোখ, মুখ বেঁধে ও রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে তার মাথায় গুলি করে হত্যার পর রাউজান বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাট কর্ণফুলী নদীর তীরে লাশ ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন ৩০ মার্চ লাশ উদ্ধার করা হয়। ৩১ মার্চ ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়। ঘটনার সময় দুটি মাইক্রোবাস ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে একটি গাড়ির চালক হেলাল বলে এজাহার উল্লেখ করা হয়েছে।
- বিষয় :
- চট্টগ্রাম