ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপির নামে পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতির কাছে চাঁদা দাবি, পরে জানা গেল আ’লীগ

বিএনপির নামে চাঁদা দাবি, পরে জানা গেল আ’লীগ

ফাইল ছবি

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৯:৩৬ | আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৯:৩৯

যশোরের মনিরামপুর বাজার কমিটি ও পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তুলসি বসুসহ দুই ব্যবসায়ীর কাছে ফোনে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় আলোচনা তৈরি হয়। পরে বিএনপির নজরে এলে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে নেতাকর্মীরা জানতে পারেন, চাঁদা দাবি করা ব্যক্তি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত।

দুই ব্যক্তি হলেন– পৌর শহরের ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ কর্মী প্রভাত কুণ্ডু এবং তাঁর বেয়াই চিত্তরঞ্জন কুণ্ডু। দু’জন যোগসাজশে এতে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বলে জানা গেছে। প্রভাত কুণ্ডুর আওয়ামী লীগে পদ না থাকলেও তিনি সক্রিয় কর্মী বলে স্বীকার করেছেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মাহাবুবুর রহমান।

তুলসি বসু জানান, কয়েকদিন আগে তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে একটি কল আসে। এ সময় তাঁকে বড় ব্যবসায়ী উল্লেখ করে খরচ বাবদ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। বিষয়টি তিনি তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে জানিয়ে রাখেন। পরে অপর ব্যবসায়ী হাকোবা গ্রামের প্রভাত কুণ্ডুর কাছেও একই নম্বর থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় বলে তিনি দাবি করেন।

প্রভাত কুণ্ডুর দাবি, তিনি বিষয়টি জেলা বিএনপির এক নেতার মাধ্যমে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে অবহিত করেন। তাঁর নির্দেশে জেলা ও থানা বিএনপির নেতারা বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। পরে চাঁদা দাবি করা মোবাইল ফোন নম্বর যাচাই করে দেখা যায়, নম্বরটি প্রভাত কুণ্ডুরই ভাইয়ের বেয়াই চিত্ত রঞ্জনের।

চিত্ত রঞ্জন কুণ্ডু ওরফে তপন কুমার নন্দী খুলনার ডুমুরিয়ার মধুগ্রামের মৃত পঞ্চানন কুণ্ডুর ছেলে বলে জানান মনিরামপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, গত সোমবার রাতে প্রভাত কুণ্ডু ও চিত্ত রঞ্জনকে মনিরামপুরে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপকর্মের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন।
প্রভাত কুণ্ডু বলেন, সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ভাংচুর করা হয়। তখন স্থানীয় দুই সাংবাদিকের পরামর্শে তিনি বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামকে জানান। তবে শহীদ ইকবাল হোসেনের ভাষ্য, আওয়ামী লীগের কর্মী প্রভাত কুণ্ডু একজন চিহ্নিত চোরাচালানী। নিজে চাঁদাবাজির নাটক করে তাঁর দায়ভার বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন।

এ ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে নেতারা জানিয়েছেন।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×