পদ্মার ভাঙনে ঝুঁকিতে বাঁধ বসতবাড়ি মহাসড়ক
ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইল টিকটিকিপাড়ায় পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমিসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা সমকাল
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩:৫৫
ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মোসলেমপুর, ১২ মাইল টিকটিকিপাড়া ও মুন্সিপাড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে সরকারি স্থাপনা, ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বেড়িবাঁধসহ কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক।
ভাঙনের কারণে উদ্বেগে দিন পার করছেন তিন গ্রামের অন্তত আট হাজার মানুষ। ভাঙনের স্থানটি পাউবোর আওতাধীন রায়টা বেড়িবাঁধের কাছাকাছি থাকায় জুনিয়াদহ ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের হাজারো পরিবার আতঙ্কে রয়েছে।
বাহিরচর ইউনিয়নের ১২ দাগ মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা টিক্কা মুন্সি বলেন, নদীর ভাঙনে কয়েক বছরে মুন্সিপাড়ার শত শত বিঘা জমি বিলীন হয়েছে। নদীভাঙন স্থান থেকে শহর রক্ষা বাঁধের দূরত্ব ১২০ মিটারের মতো। এ বাঁধ ভেঙে গেলে আর রক্ষা নেই। এ জায়গায় তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
মোসলেমপুর এলাকার বাসিন্দারা বেশি উদ্বেগে রয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা মিন্টু রহমান। তিনি বলেন, এলাকার ভাঙন থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে রয়েছে বেড়িবাঁধ। কিছু স্থানে বর্ষার পানিতে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙন শুরু হলে এক ঘণ্টায় তিন-চার বিঘা জমি চলে যায় নদীতে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারে। তাঁর বালু রাখার জায়গাও নদীতে চলে গেছে।
নদীভাঙনের বড় কারণ হিসেবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে দায়ী করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা। তাঁর ভাষ্য, প্রতিবছর পদ্মা নদীর বালু থেকে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। এটি বন্ধ হলে ভাঙনও বন্ধ হবে।
এ বিষয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের প্রায় ২০০ মিটারে কাজ হয়েছে। বাহিরচর ইউনিয়ন এবং পাবনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। একই ধরনের কথা বলেন ইউএনও আকাশ কুমার কুণ্ডু।
- বিষয় :
- নদী