ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

যাত্রী ছাউনি ভেঙে দলীয় কার্যালয়

যাত্রী ছাউনি ভেঙে দলীয় কার্যালয়

নলছিটির ষাটপাকিয়া বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি ভেঙে স্বেচ্ছাসেবক দলের অফিস নির্মাণ সমকাল

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩:৫৯

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ষাটপাকিয়া বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি ভেঙে স্বেচ্ছাসেবক দলের অফিস নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় অনুমতি নিয়ে ঝালকাঠি রোটারি ক্লাব যাত্রীদের সুবিধার্থে ২০১১ সালে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করে।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যাত্রী ছাউনিটি ভেঙে ফেলা হয়। সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে নলছিটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয়। মুকুল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। 
গত রোববার সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রী ছাউনিটি ভেঙে একটি স্থাপনা নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। সেটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের অফিস করা হবে বলে জানান স্থানীয়রা। এ সময় দেখা যায়, যাত্রী ছাউনিটির পেছনের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে নতুন টিন দিয়ে ঘর নির্মাণের কাজ চলমান। যাতে দলীয় লোকজন যাত্রী ছাউনির সামনের জায়গা এবং নির্মাণাধীন অফিসে প্রবেশ করতে পারে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মুকুল হাওলাদার বলেন, ‘আমার দোকানের সামনে যাত্রী ছাউনি করা হয়েছিল। তাই এটি ভেঙে দিয়েছি। পরে বিএনপির লোকজনকে অফিস করার জন্য আমি প্রতিশ্রুতি দিলে তারা জায়গাটি দখলমুক্ত করতে সহযোগিতা করন। তাই এখানে তাদের অর্থায়নে অফিস করার জন্য ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়।’ এই জায়গার মালিকানার বিষয়ে জানতে চাইলে মুকুল বলেন, নির্মাণাধীন ঘরটির কিছু অংশ ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের।
ভৈরবপাশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম জানান, যাত্রী ছাউনিটি মুকুল হাওলাদার ভাঙচুর শুরু করলে বাধা দেন তারা। পরে অফিস করার জন্য তাঁর কাছ থেকে জায়গাটি ভাড়া নিয়ে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু যাত্রী ছাউনিতে তারা কোনো ভাঙচুর কিংবা সরকারি কোনো জায়গা দখল করেননি বলে দাবি করেন।
ঝালকাঠি রোটারি ক্লাবের সাবেক সভাপতি রোটারিয়ান জি এম মোর্শেদ বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমতি নিয়ে যাত্রী ছাউনিটি করা হয়েছিল। কিন্তু এটি ভেঙে দিয়ে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।
বিষয়টি জানতে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খানকে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন জানান, বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে দলের নাম ভাঙিয়ে অন্যায় করে কেউ পার পাবে না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×