ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শুকুরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়

শ্রেণিকক্ষ ভেঙে দোকান

শ্রেণিকক্ষ ভেঙে দোকান

মিঠাপুকুরের শুকুরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণিকক্ষ ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর শোরুম

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি   

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২০:৩৬

মিঠাপুকুরের শুকুরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণিকক্ষ ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর শোরুম। প্রধান শিক্ষকের আশকারায় সভাপতি ও সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে শোরুম দুটি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক শিক্ষক-অভিভাবক।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রংপুর নগরীর লালবাগ থেকে পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়িগামী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই এবং মিঠাপুকুর উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের শুকুরেরহাটে বিদ্যালয়টির অবস্থান। অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার, কম্পিউটার ল্যাব, পাঠাগার, নামাজ ঘর নেই। নেই পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থাও। কক্ষ সংকটের মধ্যেই তিন বছর আগে বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম ও সহকারী শিক্ষক রিপন মিয়া দুটি কক্ষ ভেঙে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর শো-রুম তৈরি করেন। পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব পালন করার সময় তারা শ্রেণিকক্ষ দুটি ১০ লাখ টাকায় ১০ বছরের জন্য লিজ নেন। প্রতি মাসে সাত হাজার টাকা ভাড়াও দেন তারা। রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়নি কেউ। চলমান পরিস্থিতির পর এসব অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
 
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে কমন রুম, কম্পিউটার ল্যাব, পাঠাগার, নামাজ ঘর নেই। এরমধ্যে দুটি কক্ষে শোরুম করা হয়েছে। 
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের আশকারায় সভাপতি ও সহকারী শিক্ষক প্রতিষ্ঠানটিকে বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত করেছেন। তারা শিক্ষার্থীদের কথা ভাবছেন না।’ 

আরেক শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, লেখাপড়ার মান ফিরিয়ে আনতে না পারলে শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। শ্রেণিকক্ষে শোরুম নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, সড়কের ধারে অতিরিক্ত শব্দদূষণের কারণে পড়ালেখা বিঘ্ন ঘটে। সবার পরামর্শে কক্ষ দুটিকে শোরুমে রূপান্তর করা হয়েছে। পাঠদানের জন্য যথেষ্ট কক্ষ রয়েছে। 

সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান ও শিক্ষক রিপন মিয়া বলেন, নিয়ম মেনেই শোরুম করা হয়েছে। নিয়মিত ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছি। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

আরও পড়ুন

×