ঢাকা বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

পাঁচ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড নাসিরনগর, নিহত ১

পাঁচ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড নাসিরনগর, নিহত ১

ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের চাল উড়ে পাশের নারকেল গাছে আটকে যায়- সমকাল

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২০ | ০২:২৫ | আপডেট: ০৬ জুন ২০২০ | ০৪:৪৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পাঁচ মিনিটের আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপজেলা সদরের বেশকিছু পাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি। ভেঙ্গে গেছে বহু গাছপালা। শনিবার সকাল ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের এ তাণ্ডব চলে।

ঝড়ে নিহত হয়েছেন আশুরাইল গ্রামের জিসু মিয়া। তিনি আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব দেখে ভয়ে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ঘরের নিচে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী, উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিত রায়ের নেতৃত্বে ১০ জনের মেডিকেল টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে আহতদের চিকিৎসা দেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নাসিরনগর সদরের পশ্চিমপাড় (চেঙ্গা পুর), মহাখালপাড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টেনু দাসের (৭০) টিনের ঘরের চালা উড়ে গেছে। টিনের চালা উড়ে গেছে প্রণতি রানী দাস, বাবু দাস, জগবন্ধু দাস, জগদীশ দাস, সতীশ দাস, রতি দাস, সবুজ দাস, বুদাই দাস, অর্জুন দাস, শ্যামলাল দাস, অনন্ত দাস, হরি দাস, সুভদেবনাথ, শৈলেন দাস, এন্টু দাস, বদ্যিনাথ দাসসহ অনেকের ঘরের। চেঙ্গা পাড়ার একটি পারিবারিক মন্দিরের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, ‘করোনার লাইগ্যা এমনিউ রুজি রোজগার নাই। খামু কি আর ঘরই তুলুম ক্যামনে।’

উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের আক্তার মিয়ার নতুন আধাপাকা ঘরের চালা, স্কুলশিক্ষক নূর আলমের ঘরসহ একই গ্রামের রাজাবাড়ির ৮টি ঘর ভেঙ্গে গেছে। শ্রীঘর গ্রামের প্রায় ১৫টি ঘর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ গ্রামের মোজাম্মেল হক জুরান জানান, তাদের তিন ভাইয়ের ঘরসহ ১০টি ঘর সম্পূর্ণ ভেঙ্গে দিয়েছে আকস্মিক এ ঘূর্ণিঝড়।

এদিকে নদীর তীরে থাকা জেলেদের মাছ ধরার নৌকাসহ বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী নৌকা ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে বিদ্যুতের খুঁটিও।

মহাকাল পাড়ায় গৌর মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক সবুজ দাস জানান, মন্দিরের ২টি ঘরের টিনের চালা ঝড়ে উড়ে গেছে। ভেঙে গেছে গাছপালা। 

ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী সমকালকে জানান, উপজেলা সদরেই ৫০টির মতো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে একজন মারাও গেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের চেষ্টা করছি আমরা।

আরও পড়ুন

×