মাগুরায় সফলভাবে চাষ হলো গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ

কৃষকদের পেঁয়াজ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে
মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২০ | ০৩:৪৪ | আপডেট: ০৬ জুন ২০২০ | ০৩:৫৭
মাগুরা আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র নতুন জাতের উচ্চ ফলনশীল গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বারি-৫ কৃষক পর্যায়ে সফলভাবে চাষ করেছে। এ পেঁয়াজ চাষের সফলতা ও চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানাতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে মাঠ দিবস ও কৃষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রে বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী এ মাঠ দিবস ও কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
মাগুরা আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবস ও কৃষক প্রশিক্ষণে প্রধান আতিথি ছিলেন-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক কৃষিবীদ পার্থ প্রতিম সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন ও মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মনিরুজ্জামান।
মাঠ দিবস ও কৃষক প্রশিক্ষণকালে উদ্ভাবক মাগুরা মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান এবং কৃষিবিদরা জানান, মাগুরা আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র উচ্চ ফলনশীল বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন ও চলতি মৌসুমে মাঠ পর্যায়ে সফলভাবে চাষ সম্পন্ন করেছে। পেঁয়াজ সাধারণত শীতকালীন ফসল হলেও বারি-৫ শীত ও গ্রীষ্ম উভয় মৌসুমে চাষ করা যায়। সাধারণ পেঁয়াজ যেখানে হেক্টরে ফলন হয় ৭- থেকে ৮ টন, সেখানে বারি পেঁয়াজের ফলন হয় ২৪ থেকে ২৫ টন। দেশি পেঁয়াজের মত এ পেঁয়াজের খোসা পাতলা হওয়ায় সহজে সংরক্ষণ করা যায়।
চলতি মৌসুমে মাগুরা অঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের অধীনে ১০ একর জমিতে সফলভাবে বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। গ্রীষ্মকালে সারাদেশে এ পেঁয়াজ চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি মাত্র এক বছরের মধ্যে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি সম্ভব হবে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় সুখবর বলে মনে করে মাঠ দিবস ও কৃষক প্রশিক্ষণে উপস্থিত বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদরা।