ঢাকা শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চাঁদা ও শ্লীলতাহানির মামলায় নারীসহ ৫ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

চাঁদা ও শ্লীলতাহানির মামলায় নারীসহ ৫ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০:৩৬

বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভা শেষ করে বের হওয়ার পরে চাঁদা ও শ্লীলতাহানির মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার নারীসহ ৫ কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার তাদের গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তার হওয়ারা হলেন- বাগেরহাট জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও বাগেরহাট পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউর রহমান মন্টু (৫৯), জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাশেম শিপন (৬০), জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর তানিয়া খাতুন (৫৩), ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর কহিনুর বেগম (৬৩) এবং ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর আসমা আজাদ (৫২)।

জানা গেছে, পৌরসভার মেয়রদের অপসারণের পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক ডা. মো. ফকরুল হাসান বাগেরহাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান। এদিন কাউন্সিলরা একটি সভায় যোগ দিতে ওই কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় স্থানীয় সরকার শাখায় যান। খবর পেয়ে বিএনপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী ওই কার্যালয় ও এর আশপাশে অবস্থান নিয়ে তাদের আটকের দাবি করেন। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ এসে তাদের হেফাজতে নেয়। এর মাঝেই শ্রমিক লীগ নেতা রেজাউর রহমান মন্টু, কৃষকলীগ নেতা আবুল হাসেম শিপনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলেও জানা যায়।

বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সদর উপজেলার দেপাড়া গ্রামের আলতাফ মাহমুদ হাওলাদার বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি ও মারপিটের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করা হয়। 

মামলায় বলায় হয়, ৩ আগস্ট মামলার বাদী স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা মুক্ষাইট মোড় এলাকায় তার গতিরোধ করে মারধর করে, চাঁদা দাবি ও স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) রাসেলুর রহমান বলেন, বাগেরহাট সদর থানার একটি চাঁদাবাজির মামলায় তিন নারীসহ কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

×