দরপত্র ছাড়াই গাছ বিক্রি
জড়িতদের বাদ দিয়ে থানায় অভিযোগ

ফাইল ছবি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২০:৩০ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২০:৩০
দরপত্র ছাড়াই ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের গাছ বিক্রির ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রে জড়িতদের নাম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্য। তারা গাছগুলো কিনেছিলেন। তাদের দাবি, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, তাঁর পিএসসহ জড়িতদের বাঁচাতেই তাদের নাম দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, জেলা পরিষদের পুকুর মৌখিকভাবে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহিদুল ফকির। মাছ চাষে সমস্যা হয় বলে তিনি অভিযোগ করে আসছিলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর নভেম্বরে পুকুর ঘুরে দেখেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদের ব্যক্তিগত সহকারী নাজমুল হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উচ্চমান সহকারী শেখ লোকমান হোসেন। ওই দিনই নাজমুল দরপত্র ছাড়া জাহিদুল ফকিরের কাছে ৫০ হাজার টাকায় ৩১টি গাছ বিক্রি করেন। এরপর জাহিদ ও আরেক ইউপি সদস্য মো. নাছির পুকুরপাড়ের অর্ধশতাধিক ছোট-বড় গাছ কেটে নেন। বিষয়টি জানার পরও পরিষদের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর সদর থানায় অভিযোগ করেন জেলা পরিষদের বার্তাবাহক আকামত হোসেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য জাহিদুর রহমান আতিক ওরফে জাহিদুল ফকির বলেন, ‘আমরা গাছ কিনেছি। বিক্রি করেছেন নাজমুল হোসেন ও লোকমান হোসেন। টাকা তাদের হাতে দিয়েছিলাম। এর ভিডিও ফুটেজও আছে। অথচ অভিযোগপত্রে তাদের নাম নেই। এটা ঠিক না।’
গাছ বিক্রির কথা অস্বীকার করলে ভিডিওর কথা জানানোর পর নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমি কর্মচারী। আমার একার পক্ষে তো গাছ বিক্রি করা সম্ভব না।’
জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ বলেন, অনেক আগে গাছের কারণে মাছ চাষে অসুবিধা হচ্ছে বলে ইউপি সদস্য আবেদন করেছিলেন। এর বেশি কিছু মনে নেই।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন উদ্দিন বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, প্রাথমিকভাবে গাছ ক্রেতাদের নামে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর হয়তো কারা জড়িত তা উঠে আসবে। টাকা লেনদেনের একটা ভিডিও পেয়েছেন। সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
- বিষয় :
- দরপত্র
- অনিয়মের অভিযোগ
- গাছ কাটা
- ঝিনাইদহ