বরিশালে করোনা উপসর্গে মৃত্যু, স্বজনরা অংশ নেননি জানাজা-দাফনে

প্রতীকী ছবি
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২০ | ০৯:৫০ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর -০০০১ | ০০:০০
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা মিজানুর রহমানের (৪২) মরদেহ দাফনে এগিয়ে আসেননি স্বজনরা। পরে প্রশাসনের উপস্থিতিতে শুক্রবার গভীর রাতে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
মিজানের বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জের কালাবদর-তেঁতুলিয়া নদীর তীরের ইউনিয়ন শ্রীপুরে। তিনি ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে অসুস্থবস্থায় গত ১ জুন ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে নিজ ঘরে আত্মগোপনে ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য শুক্রবার বিকালে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হলে নদীতে স্পীডবোটে তার মৃত্যু হয়।
শ্রীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, জ্বর, কাশি ও গলা ব্যাথ্যা নিয়ে কয়েকদিন আগে মিজানুর রহমান বাড়িতে ফিরে গোপনে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। ক্রমশ তার অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল হাসপাতালে রওনা হলে পথে অজ্ঞান হয়ে যান। এ সময় স্থানীয়রা তাকে ধরাধরি করে স্পীডবোটে উঠিয়ে দেন। স্পীডবোট লাহারহাট পৌঁছার পর তার মৃত্যু ঘটে। এরইমধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে যায় যে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পরে স্বজনরাসহ অন্যান্যরা এগিয়ে না আসায় লাশ দাফন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে লাশ দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। দাফনের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫ সদস্যর একটি দল। তাদেরকে পিপিইসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে রাত ১টায় দাফন সম্পন্ন হয়। মৃত মিজানুর রহমাননের বাবা, শ্বশুর ও এক ছেলে ছাড়া পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের আর কেউ জানাজায় অংশগ্রহণ করেননি।
মিজানুর রহমানের বাড়ি লকডাউন এবং তকে চিকিৎসা দেওয়া পল্লী চিকিৎসক ও যারা ধরাধরি করে স্পীডবোটে তুলেছেন তাদের হোম কোয়ারন্টোইনে রাখা হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান জানান।