সেই হেলিকপ্টার ওড়ানোর ক্ষণ গুনছেন নাজমুল
বেবিচকের কাছে চাইলেন অনুমতি
নিজের তৈরি হেলিকপ্টারে বসে খুলনার ফুলতলার ছাতিয়ানী গ্রামের কলেজছাত্র নাজমুল সমকাল
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | ২৩:৩৮
খুলনার ফুলতলার ছাতিয়ানী গ্রামের কলেজছাত্র নাজমুল হোসেন খান প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করে বাড়িতে বসে একটি হেলিকপ্টার তৈরি করেন। তাঁর হেলিকপ্টার তৈরির সংবাদ ফলাও করে প্রচার করে দেশের গণমাধ্যম। এখন হেলিকপ্টার ওড়ানোর অনুমতি চেয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানিয়েছেন নাজমুল।
নাজমুল বলেন, হেলিকপ্টার ওড়াতে
গেলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। তাই গত রোববার ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। সংস্থাটির অনুমতি মিললে হেলিকপ্টারটি ওড়ানো সম্ভব হবে। আমি অনুমতির অপেক্ষায় আছি।
এ ব্যাপারে ফুলতলার ইউএনও তাসনীম জাহান বলেন, নাজমুলের আবেদনপত্রটি আমি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।
তারা নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাজমুল নগরীর বিএল কলেজে বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ফুলতলার জামিরা ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামের মুদি দোকানি নজরুল ইসলাম খানের ছেলে। নাজমুল প্রায় তিন বছরের চেষ্টায় এক আসনের একটি হেলিকপ্টার তৈরি করেছেন। এটির দৈর্ঘ্য ২২ ফুট।
নাজমুল জানান, হেলিকপ্টারটি এক লিটার অকটেনে ১৮ থেকে ২০ মিনিট চলবে, যার সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার। এটি ২১০ কেজি ওজন নিয়ে সাড়ে তিন হাজার ফুট উচ্চতায়
উড়তে পারবে।
জামিরা বাজার আসমতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গাজী মারুফুল কবীর বলেন, নাজমুলের তৈরি করা হেলিকপ্টার দেখেছি। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে হেলিকপ্টারটি আকাশে ওড়াতে পারবে।
নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম খান বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক মেধা ও শ্রম দিয়ে নাজমুল হেলিকপ্টারটি তৈরি করেছে। ওর শখ পূরণের জন্য আমি তাকে টাকা দিয়েছি। সরকারের সহযোগিতা পেলে নাজমুল হেলিকপ্টারটি ওড়াতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
- বিষয় :
- হেলিকপ্টার