ঢাকা শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শেরপুরে এক মাসে ৫৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

শেরপুরে এক মাসে ৫৩  জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা এক ডেঙ্গু রোগী -সমকাল

 শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:১৪

বগুড়ার শেরপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৫৩ জন রোগীর এ রোগ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন সাতজন। ৪৬ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য একজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাজিদ হাসান সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এক মাসে এসব রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। পাশাপাশি এ উপজেলায় ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশার অস্তিত্ব মিলেছে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, মশার উপদ্রবে উপজেলার মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বাসা-বাড়ি থেকে অফিস আদালত সব জায়গায় মশা বেড়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা নাজুক। সন্ধ্যায় বা রাতে নয়, দিনেও এর উৎপাত রয়েছে। এর সঙ্গে উপজেলায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এতে উদ্বেগে আছেন রোগীর স্বজনরা।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা। গৃহবধূ সাথী আক্তারের ভাষ্য, মশার কারণে রাতে বাসায় সন্তানদের লেখাপড়া করাতে সমস্যায় পড়ছেন। দিনের বেলার বিড়ম্বনা হলো রাস্তায় ফেলে রাখা বর্জ্যের উৎকট গন্ধ। পৌরসভার কোনো কোনো ডাস্টবিনের এমন অবস্থা যে, সেগুলো যেন এডিস মশার আবাসস্থল হয়ে উঠেছে।
পৌরসভাসহ উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পানি নিষ্কাশনের নালা-নর্দমায় মশার লার্ভা রয়েছে। এসব স্থান যেন এডিস মশার প্রজননস্থল হয়ে উঠেছে। কয়েকজন জানান, বর্ষা মৌসুম শেষ হলেও মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। মশারি, কয়েল ও ইলেকট্রিক ব্যাট ব্যবহার করেও এর কামড় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারছেন না। মশার উৎপাত ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
স্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলায় এডিস মশার অস্তিত্ব মিলেছে। সারাদেশের মতো এ উপজেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্তান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করছেন তারা। বাড়িঘর ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশা থেকে রক্ষা পেতে মশারি টানিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, মশার কামড়ে মানুষ ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। এ জন্য সবার সচেতন থাকা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

×