ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

লাশ রেখে সড়ক অবরোধ, আসামিদের বিচারের দাবি

লাশ রেখে সড়ক অবরোধ, আসামিদের বিচারের দাবি

সড়ক অবরোধ। ছবি: সমকাল

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | ০১:৫৬

চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় আল আমিনকে। শুক্রবার ঘাটাইলের ধলাপাড়া ইউনিয়নের কোনাবাড়ি গ্রামে ঘটে এ হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে শনিবার বিকেলে ধলাপাড়া পেঁচারআটা মোড়ে প্রথমে মানববন্ধন করে। পরে লাশ নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ঘাটাইল-সাগরদিঘী সড়ক অবরোধ করে রাখে নিহত যুবকের পরিবার ও এলাকাবাসী। এ সময় সড়কের উভয় পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়।

নিহত আল আমিনের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ১২ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছে তাঁর চাচাতো ভাই যুবলীগ নেতা আল মুনছুর ও রিপন গংদের। এর জেরে গত শুক্রবার দুপুরে পারিবারিকভাবে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মুনছুর গংরা চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে হামলা করেন আল আমিনদের ওপর। প্রাণ যায় আল আমিনের। গুরুতর আহত হন তাঁর বাবা চান মিয়াসহ তিনজন। তারা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা অভিযুক্ত ছয়জনকে ধরে পুলিশে দেয়। কিন্তু মূল আসামি ধলাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আল মুনছুর ধরা পড়েনি। তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতেই শনিবার মানববন্ধন করা হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ধলাপাড়া এসইউপি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, আব্দুর রহিম প্রমুখ।

এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকেলে আল আমিনের লাশ ধলাপাড়ায় পৌঁছায়। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে লাশ নামিয়ে ঘাটাইল-সাগারদিঘী সড়কে রেখে আসামিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধে সড়কের উভয় পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। 

মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধে অংশ নেন আল আমিনের শিশু সন্তান আব্দুর রহমান ও আফরিন, বৃদ্ধা মা রাহেলা বেগম ও স্ত্রী সুমি আক্তার।
ঘাটাইল থানার ওসি রকিবুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×