জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
প্রশাসনে ফ্যাসিস্টদের দোসররা ঘাপটি মেরে আছে
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: সমকাল
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬:৫৫ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬:৫৭
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এখনও প্রশাসনের ভেতরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। তাদেরকে অবিলম্বে সরাতে হবে। তা না হলে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের সরকার ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। কারণ তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আজ রোববার সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর ইউনিয়নের সাড়াভিটা এলাকায় জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর ও কৃষকদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ডুমুরিয়া ও ফুলতলা এলাকার জলাবদ্ধতা একদিনে বা এক মাসে নিরসন করা সম্ভব নয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের ভোটের সরকার লাগবে। জনগণ যাদের পছন্দ করবে তারা ক্ষমতায় গিয়ে চুরি-ডাকাতি, লুটপাট, দুর্নীতি বাদ দিয়ে সরকারের টাকা দিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করবে। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। খালে-বিলে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছি। সরকারি কর্মকর্তাদের সহায়তায় আওয়ামী লীগের লোকজন সমস্ত খালে-বিলে বাঁধ ও পাটা দিয়ে পানি আটকে দিয়েছিল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের ডুমুরিয়া উপজেলা উত্তরের আমীর গাজী সাইফুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন- খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মিয়া গোলাম কুদ্দুস, ডুমুরিয়া উপজেলা দক্ষিণের সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমান, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন সভাপতি বেলাল হোসেন, রংপুর ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান, ডুমুরিয়া উপজেলা উত্তরের সেক্রেটারি বিএম আলমগীর হোসেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা হিন্দু কমিটির সহ-সভাপতি হরিপদ দাস, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ, রংপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ প্রমুখ।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাজারে এখানও আওয়ামী লীগের দোসরদের সিন্ডিকেট রয়েছে। এসব সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে দ্রব্যমূল্য কমানো সম্ভব না। এসব প্রভাবশালী সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়ে জনগণকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়। সবাইকে এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নাগরিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে আমরা সব সময় সোচ্চার। আমরা এ দেশকে ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক একটি কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করি। যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকবে। এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার সুফল হিসেবে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার সুনিশ্চিত হবে এবং মানবতার পাশে সব দাঁড়াবে।
- বিষয় :
- খুলনা
- জামালপুর
- আওয়ামী লীগ