মানববন্ধন করায় যুবদল নেতাকে মারধর
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড়, কোলদিয়াড় ও ভুড়কাপাড়া অঞ্চলে পদ্মা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ চেয়ে মানববন্ধন। রোববার দুপুরে ভুড়কাপাড়ায় পদ্মা নদীর তীরে এ কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমকাল
কুমারখালী ( কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:৩১
কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায় এক যুবদল নেতাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাতে কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের ঘটনায় রোববার কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি চরসাদিপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ও গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চরসাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মেছের আলী খাঁ’র অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে মানববন্ধন করা হয়। এর জের ধরেই ঘটে মারধরের ঘটনা।
এলাকাবাসী জানান, শনিবার বিকেলে চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে স্থানীয়দের একাংশ। এতে চরসাদিপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বয়েনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন চরসাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম আযম, ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবু তালেব, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পদ্মা নদীর কারণে জেলা ও উপজেলা শহরের সঙ্গে চরসাদিপুরের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। ওই এলাকার বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের নজরদারি কম। সে সুযোগে আওয়ামী লীগপন্থি চেয়ারম্যান মেছের আলী খাঁ পাঁচ-সাত হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে ভিজিএফ, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড দেন। যেখানে দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি দৃশ্যমান। দলীয়করণের মাধ্যমে টিআর, কাবিখাসহ সরকারি নানা প্রকল্পেও অনিয়ম ও অর্থ লুটপাট করেন তিনি।
চরসাদিপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসবের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়। সেই ক্ষোভে রাতে চেয়ারম্যান মেছের আলী খাঁ, তাঁর দুই ছেলে ফিরোজ হোসেন ও নাজমুল হোসেনসহ ৮–১০ জনের একটি দল তাঁকে মারধর করে।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মেছের আলী খাঁ জানান, জাহাঙ্গীর তাঁর প্রতিবেশী ও আত্মীয়। সে কেন মানববন্ধনে গিয়েছিল সেটি জানতে গিয়েছিলেন। তবে মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়। সরকার পরিবর্তনের পর জামায়াত ও বিএনপি নেতারা ব্যক্তিগত সুবিধা নিতে না পেরে মনগড়া অভিযোগ করেছেন।
কুমারখালী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগটি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- মানববন্ধন