ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের অভিযোগ, পিটিয়ে যুবককে হত্যা

কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের অভিযোগ, পিটিয়ে যুবককে হত্যা

নিহতের পরিবারের সদস্যদের আহাজারি। ছবি-সমকাল

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:৫৯ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১২:০৬

করিমগঞ্জের কিশোরী মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে– অভিযোগ এনে এক যুবককে বেধড়ক পেটানো হয়। আহত অবস্থায় তাঁকে সেনাক্যাম্পে সোপর্দ করলে এক পর্যায়ে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত যুবক করিমগঞ্জের জয়কা ইউনিয়নের বারুক এলাকার জুগেশ রবিদাসের ছেলে স্যালুনকর্মী হৃদয় রবিদাস (২১)।

রোববার নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, স্বজন ও প্রতিবেশীরা ভিড় করেছেন। এ সময় নিহত হৃদয়ের বাবা জুগেশ রবিদাস ও মা অনন্তী রবিদাসকে আহাজারি করতে দেখা গেছে। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে হৃদয়ের বাবা জানান, তিনি কিশোরগঞ্জ শহরে রিকশা চালান। তাঁর চার ছেলের মধ্যে হৃদয় দ্বিতীয়। তিনি পার্শ্ববর্তী নোয়াবাদ ইউনিয়নের ভূঁইয়ার বাজারে একটি স্যালুন চালাতেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কয়েকজন মিলে হৃদয় ও সাকিলকে মারধর করে। তাদের অভিযোগ, হৃদয় এক পিতৃ-মাতৃহীন মেয়ের (১৫) সঙ্গে প্রেম করেন। আর কৌশলে মেয়েটিকে পাচারের চেষ্টা করছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় হৃদয়কে করিমগঞ্জের ‘প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে’ নিয়ে গেলে শনিবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান। তবে হৃদয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন বাবা জুগেশ রবিদাস। তিনি এ হত্যার বিচার দাবি করেছেন।

হৃদয়ের চাচাতো ভাই সাকিল জানান, তিনি সদর উপজেলার বৌলাই বাজারে স্যালুনে কাজ করেন। শুক্রবার তাঁকে নিয়ে হৃদয় বাজারের স্যালুনে যান। এমন সময় কিছু লোক গিয়ে তাদের মারধর করে। খবর পেয়ে নোয়াবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, বাজার কমিটির সভাপতি মঞ্জিল মিয়াসহ অন্যরা গিয়ে হৃদয় ও সাকিলকে সেনাক্যাম্পে সোপর্দ করেন। 

সেনাক্যাম্পের লে. কর্নেল মো. রিয়াজুল করিম জানিয়েছেন, আহত অবস্থায় হৃদয়কে ক্যাম্পে আনার পর রাতে পুলিশে সোপর্দ করার সময় রাস্তায় পড়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদয় তখন ভীত হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যান। পরে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। গুরুতর অবস্থার কারণে ‘প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে’ পাঠালে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদয় মারা যান। 

করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, জেলা সদরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ মর্গে শনিবার হৃদয়ের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×