ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ১০
সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা বাড়িঘর। ছবি: সমকাল
ফরিদপুর অফিস ও ভাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮:৫০
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ভাঙচুর করা হয়ছে কয়েকটি বাড়িঘর। শনিবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের খাপুরা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, খাপুরা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাধু মাতুব্বর ও অপর পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিরাজ সিকদার। কয়েক দিন আগে সাধু মাতুব্বরের সমর্থক আরজু ফকিরের ছেলে আজিম ফকিরের সঙ্গে মিরাজ সিকদারের সমর্থক রিপন সিকদারের দোকানের কর্মচারীর কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাজারে আজিম ফকিরকে পিটিয়ে আহত করেন মিরাজ সিকদারের পক্ষের লোকজন। গুরুতর আহত আজিমকে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। এর জেরে শনিবার সকালে দুইপক্ষের লোকজন মুনসুরাবাদ বাজারে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায় দুইপক্ষের কয়েকশত লোকজন ঢাল, সড়কি, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, সংঘর্ষে মিরাজ সিকদারের দলের চুন্নু সিকদার, নুরু শেখ ও ফরহাদ শেখের বাড়ি ও ফরহাদ শেখের একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়েছে।
ভাঙ্গার হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খাপুরা গ্রামের সাধু মাতুব্বর ও মিরাজ সিকদারের পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সামান্য বিষয় থেকে প্রথমে একজনকে পিটিয়ে আহত করার পর দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে বিকেল পর্যন্তু থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।