ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘চাঁদা’ তুলে আত্মসাতের অভিযোগ

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘চাঁদা’ তুলে আত্মসাতের অভিযোগ

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রওনক আরা বেগম

ফরিদপুর অফিস ও নগরকান্দা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ২০:৪৬

সাংবাদিক অসুস্থতার কথা বলে ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

তবে অসুস্থ ওই সাংবাদিকের পরিচয় জানে না কেউ। এমনকি শিক্ষা কর্মকর্তাও তাকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন। শিক্ষা কর্মকর্তার দাবি, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে সমালোচনা চলছে।

একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রওনক আরা বেগম যোগদানের পর থেকে কখনও শিক্ষকদের আত্মীয়স্বজন আবার কখনও সাংবাদিক অসুস্থসহ নানা অজুহাতে সাধারণ শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা তোলেন। পরে সেই টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। গত ১৩ নভেম্বর শিক্ষা অফিসের সাধারণ সভায় স্থানীয় এক সাংবাদিকের অসুস্থতার কথা বলে উপজেলার ৮৫টি বিদ্যালয় থেকে অন্তত ৫০ হাজার টাকা তোলেন তিনি।

টাকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা তাদের বলেছেন, এক সাংবাদিক অসুস্থ, তাকে সহযোগিতা করতে হবে। তাই তারা উপজেলার ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত ৫৫৬ জন শিক্ষক সহযোগিতা করেছেন। প্রত্যেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ২০০ ও সহকারী শিক্ষকরা ১০০ টাকা করে দিয়েছেন। সেই টাকা কোন অসুস্থ সাংবাদিককে তিনি দিয়েছেন, তার পরিচয় দেননি শিক্ষা কর্মকর্তা।

আবু তাহের নামে এক সাংবাদিকের নাম ভাঙিয়ে টাকা তোলার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। নগরকান্দা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শওকত আলী শরীফ বলেন, অসুস্থ সাংবাদিকের নামে কেউ সহযোগিতা চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সংগঠনে জানাতে পারতেন। এ ছাড়া আবু তাহের নামে নগরকান্দায় কোনো সাংবাদিক নেই। বিষয়টি তদন্ত করে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

নগরকান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রওনক আরা বেগম বলেন, আবু তাহের নামে এক সাংবাদিক তার ফোনে কল করে অসুস্থতার কথা বলে সহযোগিতা চান। তাই তিনি টাকা তুলে ওই সাংবাদিকের বিকাশ নাম্বারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে ওই সাংবাদিককে তিনি কখনও দেখেননি এবং চেনেনও না। এখন সেই নাম্বারে কল করলে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। জানতে পারেন আবু তাহের নামে নগরকান্দায় কোনো সাংবাদিকই নেই। তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন।

নগরকান্দার ইউএনও কাফী বিন কবির বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই করে টাকাটা দিলে ভালো হতো। যে নাম্বারে টাকা পাঠিয়েছেন, ওই নাম্বারটির বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়েছে। প্রতারককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×