ছাত্রদল নেতার হাত ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা
ছবি গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ২১:৫২
নেত্রকোনা সদর উপজেলার বালী বাজারের চা দোকানির কাছে চাঁদা দাবি করায় ছাত্রদল নেতা সারোয়ার সাহেদ মুন্নার হাত ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দোকানি সোহেল মিয়াকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান সোহেল।
আহত সারোয়ার সাহেদ মুন্না নেত্রকোনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। সোহেল মিয়া একই উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, নেত্রকোনা সদর উপজেলার বালী বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে সোহেল মিয়া চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছিলেন। কিছু দিন ধরে সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার সাহেদ মুন্না মাসে ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন বলে অভিযোগ। গত ২৭ নভেম্বর চাঁদা চাইলে তাঁকে দেড় হাজার টাকা দেন সোহেল। বাকি ৫০০ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন মুন্না। এ নিয়ে সোহেলের সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হয়। ওইদিন রাতে এলাকার কয়েকজন যুবক বালী বাজারে তাঁকে পিটিয়ে আহত করে। এতে তাঁর ডান হাত ভেঙে যায়। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর থেকে মুন্নার লোকজন চা দোকানি সোহেলকে মোবাইল ফোনে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোহেল মিয়া বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। সারাদিন পরিশ্রম করে ছোট্ট এ চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালাই। আমার কাছে মাসে দুই হাজার টাকা দাবি করছিলেন মুন্না ভাই। টাকা না দিলে আমাকে বাজারে ব্যবসা করতে দেবেন না বলে জানান। তাঁকে দেড় হাজার টাকা দিয়েছি। আরও ৫০০ টাকা দাবি করছিলেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে কে বা কারা তাঁকে মেরেছে আমি জানি না। এখন আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে। ফেসবুকে লেখালেখি করছে। খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি।’
আহত ছাত্রদল নেতা সারোয়ার সাহেদ মুন্নার সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গীর বলেন, ‘চাঁদার জন্য নয়, এলাকায় তাঁর বিরোধী পক্ষ প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মারধর করেছে। এতে তাঁর ডান হাত ভেঙে গেছে। মুন্না হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুর্শেদুল আজিজ বলেন, ‘সারোয়ারকে মারধর করার বিষয়টি শুনেছি। চাঁদা দাবি করার জন্য যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ দল কাউকে চাঁদাবাজি করার জন্য বলেনি।’
নেত্রকোনা সদর থানার ওসি কাজী শাহ্ নেওয়াজ জানান, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।