ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

হাসিলের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়

হাসিলের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়

হবিগঞ্জের মিরপুর ছাগলের হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় সমকাল

 হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০০:১৫

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর ছাগলের হাটে হাসিল বা খাজনার নামে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ করেছেন হাটের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষ।
ঐতিহ্যবাহী এই ছাগলের হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, হাসিল আদায়ের নামে রীতিমতো চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। প্রশাসনের দ্বারা নির্ধারিত নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছামতো হাসিল আদায় করছেন ইজারাদাররা। এ নিয়ে ইজারাদার ও তাদের লোকজনের সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতার প্রায়ই হট্টগোল হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে সর্বশেষ সমন্বয় করা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ছাগলপ্রতি ৭ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত হাসিল আদায় করা যাবে। এছাড়া জনস্বার্থে প্রতিটি হাট-বাজারের দৃশ্যমান স্থানে টোল চার্ট টাঙানোর প্রশাসনিক নির্দেশনাও রয়েছে।
সরেজমিনে মিরপুর ছাগলের হাট ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ছাগলপ্রতি ১২ শতাংশ হারে এক হাজার টাকারও বেশি হাসিল আদায় করা হচ্ছে। হাটের কোথাও কোনো টোল চার্ট টাঙানো হয়নি। হাসিল আদায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে ইজারাদার ও হাসিল ঘরের লোকজনের প্রায়ই বাগ্‌বিতণ্ডা হচ্ছে।
উপজেলার চক্রামপুর গ্রাম থেকে আসা ফারুক মিয়া নামে এক ক্রেতা জানান, তিনি হাট থেকে দুটি ছাগল কিনেছেন; যার দাম ১৭ হাজার টাকা। এ দুটি ছাগলের জন্য তাঁকে হাসিল দিতে হয়েছে ২ হাজার টাকা। সরকারি নিয়মে যেখানে হাসিল আদায় করার কথা সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। এ হাটে যেভাবে হাসিল আদায়ের নামে টাকা নেওয়া হচ্ছে সেটি রীতিমতো চাঁদাবাজি। জেলার আর কোনো হাট-বাজারে এভাবে হাসিল আদায় করা হয় না।
আব্দুল আহাদ নামে আরেক ক্রেতা জানান, তিনি ৩ হাজার ২০০ টাকা দামের একটি ছাগল কিনে তার বিপরীতে হাসিল দিয়েছেন ৪০০ টাকা। তাঁর কাছ থেকে হাসিল হিসেবে প্রায় দ্বিগুণ টাকা আদায় করা হয়েছে। আরেক ক্রেতা রহমানের অভিযোগ, হাসিল আদায়ের নামে ইজারাদাররা চাঁদাবাজি করছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। হাটে এমন বেপরোয়া চাঁদাবাজি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়পক্ষের জন্য আপত্তিকর।
এ বিষয়ে ইজারাদার হেলাল চৌধুরী জানান, অন্য বাজারের তুলনায় তারা কম টাকা হাসিল আদায় করছেন। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে নিয়ম মেনে সঠিকভাবে হাসিল আদায় করা হয়।
ইউএনও মনজুর আহসান জানান, অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে সেটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার হবে। 
 

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×