ঢাকা সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল নেতা

স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল নেতা

নগরের পাঁচলাইশ থানায় তাকে সোপর্দ করা হয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮:২০

চট্টগ্রামে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে পাঁচলাইশ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। সোমবার বিকালে নগরের পাঁচলাইশ থানায় তাকে সোপর্দ করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী সাজ্জাদ নগরের মোহাম্মদপুর এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে। সে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক তোসাদ্দেক নূর তপুর অনুসারী বলে জানা গেছে।

সাজ্জাদকে মারধর করে থানায় সোপর্দ করতে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও নিজ ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেছেন পাঁচলাইশ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। এরপর বিষয়টি প্রকাশ পায়। তবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার দেখানো নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছে পুলিশ ও ছাত্রদল নেতারা।

ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচলাইশ থানার সামনে সাজ্জাদের কলার চেপে ধরে টেনে আনছেন শাহাদাত হোসেন। তখন তিনি বলেন, ‘এই ছাত্রলীগ আমাকে ২০২৩ সালে অ্যারেস্ট করাইছে। ছাত্রদল দেখে দেখে ধরে তুলে দিছে।’ এ সময় গালি দিয়ে সাজ্জাদকে থাপ্পড় মারেন তিনি। বেলাল নামে তার এক অনুসারী সাজ্জাদকে পেছন থেকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন।

জানতে চাইলে শাহাদাত হোসেন সমকালকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিরিচ হাতে আমাদের তাড়া করেছিল সাজ্জাদ। তাকে মুরাদপুর থেকে ধরে পাঁচলাইশ থানার ওসির কাছে সোপর্দ করেছি।

তাকে মারধর করেছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘মারধর করিনি। এমনিতে চড় থাপ্পড় দিয়েছি।’

জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান সমকালকে বলেন, রোববার রাতে পাঁচলাইশ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আকিবকে মারধর করে আহত করেছে সাজ্জাদসহ অন্যরা। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পাঁচলাইশ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আকিব হাসান চৌধুরী সমকালকে জানান, নগরের মুরাদপুরের রেললাইন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতো মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির অনুসারীরা। পাঁচ আগস্টের পর তিনি কাউকে চাঁদা দিতে নিষেধ করেন। গত রোববার রাতে এক ব্যবসায়ী জানান স্থানীয় শামসুল আলম তার কাছ থেকে চাঁদা চেয়েছেন। তিনি এর প্রতিবাদ করলে শামসুল আলমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন মিলে তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেপ্তার সাজ্জাদ হোসেন তাকে মারধর করেছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। সে জড়িত ছিল কিনা সেটি পুলিশের ব্যাপার। অথচ মামলার এজাহারে ছয়জনের নাম রয়েছে। সেখানে সাজ্জাদ হোসেনের নামও রয়েছে। আর শামসুল আলম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। আকিবের দাবি, শামসুল আলমের দুই ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন ও হাসান নুরুল আজিম রনির অনুসারী। তারা আগে চাঁদাবাজি করতো। এখন শামসুল আলম নিজে করেন। মামলায় তিনজনকেই আসামি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে শামসুল আলমের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 
 

আরও পড়ুন

×