ঢাকা সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

বিবিসির শত নারীর তালিকায় স্থান পেয়ে ‘আপ্লুত’ রিক্তা

বিবিসির শত নারীর তালিকায় স্থান পেয়ে ‘আপ্লুত’ রিক্তা

রিক্তা আক্তার বানু লুৎফা।

 কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০৩:৫৩ | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০৪:২৬

বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পেয়ে ‘আপ্লুত’ বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার রিক্তা আক্তার বানু লুৎফা। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী মেয়ের কারণেই তিনি এ সম্মান পেয়েছেন। এ কৃতিত্বের জন্য তিনি বিবিসি পরিবার, সংবাদকর্মীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান। 

রিক্তা আক্তার বানু কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকার চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ নার্স। তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের দক্ষিণ ধনঞ্জয় গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের কন্যা। তাঁর স্বামীর বাড়ি চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের রমনা সরকারপাড়া গ্রামে। বর্তমানে সেখানে স্বামী আবু তারিক আলম ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকেন। 

২০০৯ সালে রিক্তা প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এটি এমপিওভুক্ত হয় ২০২০ সালে। স্কুলের ২১ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ১০ জনের বেতন-ভাতা হয়। বাকিরা এখনও বেতন-ভাতার আওতায় আসতে পারেননি। তাঁর নিজের নামে গড়া প্রতিবন্ধী স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন মেয়ে তানভীন দৃষ্টি মনিকে। স্কুলে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০০। রিক্তা এখনও চাকরি থেকে অবসর নেননি। অবসরের জীবন তিনি কাটাতে চান নিজ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ নার্স রিক্তা বলেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে অনেক কষ্টের গল্প আছে। আমার মেয়েকে যখন প্রাথমিক স্কুলে দিই, তখন সেখান থেকে তারা বের করে দিয়েছিল। প্রতিবন্ধী বলে গালাগালও করেছে। পরে আর তাকে কোথাও ভর্তি করাতে পারিনি। সেই থেকে বুকের ভেতর অনেক যন্ত্রণা হতো। সেই যন্ত্রণা থেকে আজ এ প্রতিষ্ঠান।’ তিনি বলেন, ‘মেয়ের কারণেই আজ বিবিসির শত নারীর তালিকায় স্থান পেয়ে সম্মানিত হয়েছি। আমি আপ্লুত। এ কৃতিত্ব আমার একার নয়। এটা বিবিসি পরিবার, সংবাদকর্মীসহ আমার কাজে উৎসাহ দেওয়া সবার।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিন শাহ বলেন, ‘আমরা শিক্ষক-কর্মচারীসহ পুরো চিলমারীবাসী আনন্দিত। তাঁর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করছি।’ 
 

আরও পড়ুন

×