নোয়াখালীতে মাছধরার ট্রলার ডুবে ২ জেলের মৃত্যু

নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ডুবো চরে ধাক্কা লাগার পর স্রোতের টানে উল্টে গিয়ে মাছধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এছাড়া ২০ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ দুই জেলে।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টা থেকে ১টার দিকে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কালিচরের বুড়ির দোনা নতুন স্লুইচ ঘাট এলাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কালির চর গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে আবুল হাসেম (৫০) এবং একই এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে মো. জুয়েল (২৫)। তারা সম্পর্কে মামা ভাগিনা। 

বুড়ির চর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. জামাল উদ্দিন শুক্রবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, বুধবার রাতে ২৪ জন জেলে নিয়ে রবিউল মাঝির একটি নৌকা হাতিয়ার বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে ও বঙ্গোপসাগরে বেহুন্দী জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে যান। বৃহস্পতিবার রাতে মাছ নিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে বুড়ির ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ট্রলারটি রাত আনুমানিক ১২-১টার দিকে ডুবো চরের সাথে ধাক্কা লাগে ওই সময় তীব্র স্রোতের টানে ট্রলারটি উল্টে যায়। এ সময় ২০ জন জেলে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ৪ জন নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে বুড়ির চর থেকে স্থানীয় জেলেরা নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি টেনে তীরে আনেন। ওই সময় ট্রলারের কেবিনের ভেতর থেকে আবুল হাসেম ও মো. জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় দেলোয়ার ও ইরান নামে অপর দুই জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

হাতিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। নিহত জেলেদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ ছেলেদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।