ঢাকা রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

তিন বছর ধরে অকেজো দুই পানির প্লান্ট

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

তিন বছর ধরে অকেজো  দুই পানির প্লান্ট

ফাইল ছবি

সাইফুর রহমান, ইবি

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২২:৫৩

২০১৭ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অনুষদ ভবন এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনে দুটি বিশুদ্ধ পানির প্লান্ট স্থাপন করা হয়। তিন মাস পরপর এগুলো পরিচর্যা করার কথা।
প্লান্টটিতে ২৫ শতাংশ রিফাইন হয়ে বিশুদ্ধ পানি বের হয়। এটি বাজারে বিক্রি হওয়া মিনারেলযুক্ত পানির চেয়ে বেশি বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যসম্মত। এ কারণে ক্লাস চলাকালে পানের পাশাপাশি হলে 
অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরাও এখান থেকে নিয়মিত পানি সংগ্রহ করতেন।
পরিচর্যা ও মেরামতের অভাবে তিন বছর ধরে প্লান্ট দুটি বন্ধ রয়েছে। ফলে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। অগভীর নলকূপের পানি পান করতে হচ্ছে তাদের। প্রকৌশল অফিস থেকে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সাত লাখ টাকা ব্যয়ে প্লান্ট দুটি বসানো হয়। তবে অবহেলায় তিন বছর ধরে তা আর ব্যবহার করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। কয়েক দফার আন্দোলনেও এগুলো ঠিক করার উদ্যোগ নেয়নি।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিয়াম মুহাম্মদ কারনাইন বলেন, পানির প্লান্ট চালুর দাবিতে বেশ কয়েকবার ভিসির কাছে গেলেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের অবহেলায় দীর্ঘদিন ধরে এগুলো বিকল হয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে দ্রুত প্লান্টগুলো চালুর দাবি তাঁর।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনাকালে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় পরিচর্যার অভাবে প্লান্টগুলো নষ্ট হয়ে যায়। পরে ক্যাম্পাস খোলা হলে ২০২১ সালের নভেম্বরে একবার ঠিক করা হয়েছিল। মাস দু-এক পর এগুলো ফের নষ্ট হয়। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা নানাভাবে দাবি জানালে বারবার আশ্বস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে প্লান্টগুলো ঠিক করা হয়নি। সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে আন্দোলন করলেও ফল মেলেনি।
সিফাত মোহাম্মদ নামে এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, বিগত সময়ে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে গুরুত্ব না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যস্ত ছিল। নতুন প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে দ্রুত এগুলো মেরামত করুক, এমন আশা তাঁর।
প্রকৌশল দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, প্লান্টগুলো সংস্কারে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে দু’বছর আগে নোট দেওয়া হয়। তার অনুমোদন মেলেনি। ফাইলটি এখনও রেজিস্ট্রার অফিসে আটকে আছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘গত প্রশাসনের সময় আমরা এগুলো সচল করার বিষয়ে কাজ করেছিলাম। কিন্তু আর্থিক অনুমোদন না পাওয়ায় প্লান্ট দুটি ঠিক করা সম্ভব হয়নি। নতুন প্রশাসনের সঙ্গে এখনও আলোচনা হয়নি।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘গত প্রশাসনের সময় কী হয়েছিল জানি না। আমার কাছে এখনও ফাইল আসেনি। যেহেতু এটি শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনীয়, ফাইল এলে কীভাবে দ্রুত অনুমোদন দেওয়া যায়– সেটা দেখব।’

আরও পড়ুন

×