বালুর টেন্ডারে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ
ভাঙ্গায় প্রতিপক্ষের হামলা-গুলিবর্ষণ, আহত ৪
আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: সমকাল
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০৪:৪৬ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০৬:২৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বালুর টেন্ডারে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনায় চারজন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় পিস্তলের ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের চরমুকডুবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন– উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের তুলশীঘাটা গ্রামের কুদ্দুস জমাদ্দার, আব্দুর রহমান ও কাউলীবেড়া গ্রামের রিয়ান মাতুব্বর ও কাওসার মাতুব্বর। তারা স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী রনি জোমাদ্দারের লোক হিসেবে পরিচিত।
আহত আব্দুর রহমান জানান, তারা কয়েকজন মঙ্গলবার সকালে মোসলেমখাঁর বাজারে উপজেলা প্রশাসনের একটি বালুর টেন্ডারে অংশ নিতে মোটরসাইকেলে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে চরমুকডুবা গ্রামে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাঁর মাথায় পিস্তল ধরেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে প্রশাসনের বালুর টেন্ডারে অংশ নিলে প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে তাদের প্রতিপক্ষ রিপন খান ১৫-২০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন। খবর পেয়ে ইউএনও এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে আঁড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে চরমুকডুবা গ্রামের মোসলেমখাঁর বাজারে পৃথক স্থানে দুটি বালুর বেড তৈরি করেন রিপন খান ও তাঁর প্রতিপক্ষ একই গ্রামের রনি জোমাদ্দার। এর পর বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে নদী থেকে তোলা বালু জব্দ করার পর তা বিক্রি করতে বিধি অনুযায়ী টেন্ডার আহ্বান করে প্রশাসন। সেই টেন্ডারে রনি জোমাদ্দার, রিপন খান এবং অপর এক ব্যক্তি অংশ নেন। এর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বেলা ১২টার দিকে কাউলীবেড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টেন্ডারে বালু বিক্রির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
হামলার বিষয়ে বক্তব্য জানতে রিপন খান ও রনি জোমাদ্দারের ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও কেউই সাড়া দেননি।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে বিধি অনুযায়ী জব্দ বালুর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে একটি পক্ষ তার প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপরে হামলা চালায় বলে তিনি শুনেছেন।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, হামলায় ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। সেখানে কোনো গুলির ঘটনা ঘটেছে কিনা, তাঁর জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- ফরিদপুর