উচ্চ শব্দে গান শুনতে নিষেধ করায় খড়ের গাদায় আগুন

আক্কেলপুরে রাতে উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করায় কৃষকের খড়ের গাদায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ১০ বিঘা জমির খড় ছাই হয়ে গেছে। সোমবার রাতে রায়কালী ইউনিয়নের নারিকেলী ঘোলাগাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। 

ভুক্তভোগী কৃষক মামুনুর রশিদ এবং আবদুল বাছেদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার আক্কেলপুর থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে আসামি করা হয়েছে প্রতিবেশী আ. রাজ্জাক বাবু, মো. লতিফ, রুস্তম, ছাইফুল এবং মিষ্টনকে। 

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কিছু লোক উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিলেন। এতে গ্রামের বাসিন্দাদের ঘুম এবং ছেলেমেয়েদের পড়ালেখায় বিঘ্ন হচ্ছিল। স্থানীয় মামুনুর রশিদ এবং আবদুল বাছেদ তাদের উচ্চ শব্দে গান-বাজনা বাজাতে নিষেধ করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে তারা যে যার বাড়িতে চলে যান। রাত ৩টার দিকে তাঁর দুটি খড়ের গাদায় আগুন জ্বলছে বলে খবর পান কৃষক মামুনুর রশিদ। স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে ফেলার আগেই ১০ বিঘা জমির খড় পুড়ে ছাই  হয়ে যায়। 

কৃষক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘অভিযুক্তরা মাঝেমধ্যেই রাতের বেলা উচ্চ শব্দে গানা বাজায়। এতে রাতের ঘুম এবং ছেলেমেয়েদের পড়ার ক্ষতি হয়। নিষেধ করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে হুমকি দিয়ে চলে যায়।’ 

অভিযোগ প্রসঙ্গে আ. রাজ্জাক বাবু বলেন, ‘সোমবার রাতে গ্রামের কিছু ছেলে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করে। আমি খাওয়া-দাওয়া করে বাড়িতে চলে যাই। তারা কিছুক্ষণ সাউন্ড বক্স বাজিয়ে গান শোনে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামুনুর রশিদ এবং আবদুল বাছেদ এসে সাউন্ড বক্স ভাঙচুর করে চলে যান। সকালে শুনি মামুনুর রশিদের খড়ের গাদায় কে বা কারা আগুন দিয়েছে। আমি কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।’ 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।