ঢাকা রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

ফরিদপুরে আ.লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০ 

ফরিদপুরে আ.লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০ 

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর। ছবি-সমকাল

নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২২:১০ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২২:১১

ফরিদপুরের নগরকান্দায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় দলের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। দফায় দফায় হামলা চালিয়ে প্রায় ২০টি বসতবাড়ি ও ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
 
বুধবার সকালে উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্য কাইচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, কাইচাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়ার সমর্থক ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয় দলের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতাল, ভাঙ্গা উপজেলা হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 
হামলার ঘটনার বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়া বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসা বাজারে আমার সমর্থক ও জিন্নাহ সরদারের সমর্থকের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পর জিন্নাহ সরদারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসা বাজারে আমাদের প্রায় ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ সময় আমাদের লোকজন পাল্টা হামলা চালায়। এতে দু-দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তখন এলাকা অবস্থা স্বাভাবিক হয়। পরদিন সকালে আবারও জিন্নাহ সরদারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় আমাদের লোকজন পাল্টা হামলা চালালে জিন্নাহ সরদারের লোকজন পালিয়ে যায়। তখন উত্তেজিত লোকজন কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে তবে কোনো লুটপাট হয়নি।
 
অন্যদিকে কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদার বলেন, আমি আমার ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় থাকি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমাদের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ইব্রাহিম মিয়ার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িসহ আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর এবং লুটপাট করে।

এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফর আলী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন সেখানকার অবস্থা স্বাভাবিক আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও কোনো পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×