কনকনে শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, যানচলাচল বিঘ্নিত

ছবি: সমকাল
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০:২৫ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০:৩৯
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। পুরো জনপদ কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো।
শনিবার জেলা শহরের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। জেলায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো করে পড়েছে কুয়াশা। দিনের বেলাতেও কুয়াশা ভেদ করতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
নদীর মাঝে ঘন কুয়াশার কারণে জেলা সদরের মোগলবাসা নৌ-ঘাট, যাত্রাপুর নৌ-ঘাট ও চিলমারী নৌ-বন্দর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনও যাত্রীবাহী নৌকা ও ফেরি ছাড়তে পারেনি। যার ফলে চিলমারী নৌ-বন্দরে আটকা পড়েছে পাথর বোঝাই ট্রাকগুলো। অন্যদিকে যাত্রীরা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ৩ ঘণ্টা বিলম্বে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামে এসে পৌঁছায় ও রংপুরগামী আন্ত মেইল বাসগুলো ১ ঘণ্টা বিলম্বে কুড়িগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে গেছে।
ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোর চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় বিপাকে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। ঢাকা থেকে আসা যাত্রী মহিবুল ইসলাম বলেন, যমুনা সেতু পার হওয়ার পর প্রচণ্ড কুয়াশা দেখা যায়। ট্রেন খুব ধীর গতিতে চলছিল। সকাল ৬টার ট্রেন ৯টায় এসে পৌঁছাল।
ট্রাক চালক আয়নাল হক বলেন, গতকাল বিকেলে সোনাহাট থেকে পাথর নিয়ে আসছি বন্দরে। কুয়াশার কারণে সকাল ৮টার ফেরি এখনও ছাড়তেই পারেনি।
যাত্রাপুর নৌ-ঘাটের নৌকা চালক আব্দুস ছামাদ বলেন, সকাল ৯টা বাজে। দেখেন নদীর মাঝে এখনও কেমন কুয়াশা। এতো কুয়াশায় কিছুই দেখা যায় না। নাও চালাবো কেমন করি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিনদিন এমন থাকার পর ২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে এ জেলার ওপর দিয়ে। যার ফলে সূর্যের তেমন দেখা মিলবে না।
- বিষয় :
- শীতে জবুথবু
- কুড়িগ্রাম
- কুয়াশা