ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সূর্যের দেখা নেই, খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ

সূর্যের দেখা নেই, খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২:৫৩

দিনাজপুরে দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। তবে ৩ তারিখের পর হিমেল বাতাসের প্রভাব কমে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ এবং গতিবেগ ঘণ্টায় ৪ কিলোমিটার। এ তাপমাত্রা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ তাপমাত্রা আরও ১ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে।
তোফাজ্জল হোসেন জানান, হিমালয়ের সামনে জলীয় বাষ্পের বলয় সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ৩ তারিখের পর সেই বলয় অবস্থান করলে হিমেল বাতাসের প্রভাব থাকবে না। এতে তাপমাত্রা বাড়বে এবং শীতের দাপট কমবে।

জানা গেছে, অবস্থানগত কারণেই দিনাজপুরে শীতের প্রকোপ বেশি। দুই দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রিরও বেশি কমেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে হিমেল বাতাসের গতি। বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় সূর্যের দেখা মেলেনি। রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি একেবারেই কম। গরম কাপড় পরিধান করতে তাদের চলাচল করতে দেখা গেছে। সারাদিনই রয়েছে কুয়াশার আবহ। রাস্তাঘাটে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে এবং ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। কৃষকরাও রয়েছেন সমস্যার মধ্যে।

জেলা সদরের মাহুতপাড়া এলাকার দিনমজুর সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেভাবে হিমেল বাতাস বইছে তাতে কাজ করা দায়। আয়-উপার্জন একেবারেই কমে গেছে।
কালীতলা এলাকার অটোরিকশার চালক হেমন্ত রায় বলেন, ঠান্ডায় আঙুল জমে যায়। অটোর হ্যান্ডেল ধরে রাখতে পারি না। গাড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে হাতগুলো গরম করতে হচ্ছে। পেটের দায়ে বের হলেও রাস্তাঘাটে লোকজন কম। ভাড়া পাওয়া যায় না।

গোপালপুর এলাকার কৃষক পরেশ চন্দ্র বলেন, বোরো ধানের বীজতলা থেকে চারা গজাচ্ছে। শীত বেশি হলে চারা লাল হয়ে মরে যাবে। আলু ও টমেটোতেও লেটব্লাইটের আক্রমণ দেখা দেবে। তাই বালাইনাশক স্প্রে করা শুরু করেছি। যতদিন শীত থাকবে, ততদিন স্প্রে চলবে। এতে উৎপাদন খরচ বাড়বে।

আরও পড়ুন

×