ঢাকা রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

তিন দাবিতে ৭ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ রাবির প্রশাসন ভবন

তিন দাবিতে ৭ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ রাবির প্রশাসন ভবন

রাবি প্রশাসন ভবনের ফটকে তালা দেওয়া হয়েছে। ছবি: সমকাল

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১:৪৬

স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে গত সাত ঘণ্টা ধরে প্রশাসন ভবনে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্যসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিশেষ প্রয়োজনেও কাউকে বের হতে বা প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই।

এদিকে বিকেল তিনটার দিকে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক দেখা করতে আসলেও শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি ফিরে যান।

এর আগে সকাল পৌনে ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবন থেকে সবাইকে বের হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী বের হয়ে গেলেও অনেকে বের হননি। পরে সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানসহ অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এর মধ্যে বিকেল ৫টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাত ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তালা খুলে দেননি শিক্ষার্থীরা। এতে অবরুদ্ধ অনেকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছেন। সকাল থেকে চাকরির ভাইভার জন্য সার্টিফিকেট উত্তোলনসহ বিভিন্ন কাজে এসে ফিরে যেতে দেখা গেছে অনেককে।

প্রশাসন ভবনে দাপ্তরিক কাজে এসে আটকা পড়েছেন তাপসী রাবেয়া হলের এক নারী কর্মকর্তা। মায়ের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার মায়ের বয়স নব্বইয়ের বেশি। খবর এসেছে, মা সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আছে। আমাকে জরুরিভিত্তিতে যেতে হবে। তবে আমাকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি প্রো-ভিসি স্যারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। তবুও কোনোভাবে বের হতে পারিনি।’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আতাউর রহমান শাওন বলেন, ‘আগামী পাঁচ তারিখ আমার সমন্বিত ব্যাংকে ভাইভা। কাল-পরশু বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি ছুটি। আজকের মধ্যে সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে না পারলে আমি আর এই ভাইভাতে অংশ নিতে পারবো না। চাকরিটা আমার জন্য খুবই জরুরি। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের সহায়তা চাই।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘ভিসি স্যার বাইরে আছেন। আমরা ভেতরে আছি। কোনো ধরনের আলোচনা বা সংলাপ আমরা করতে পারিনি। শিক্ষার্থীরাই সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি অনেকের ভোগান্তির কথা শুনছি। শিক্ষার্থীদের আমি কল দিয়ে তাদের ব্যাপারে অনুরোধ করেছিলাম। তবে তারা আমার কথা রাখেনি।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। এ ধরনের জটিল পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাও কঠিন। তবে আমরা বিষয়টি সমাধান করতে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।

আরও পড়ুন

×