ঢাকা রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

জাতিসংঘ পার্কের নাম বদলে হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’

জাতিসংঘ পার্কের নাম বদলে হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’

চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ আবাসিকে অবস্থিত জাতিসংঘ পার্কের নাম পরিবর্তন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। ছবি: সমকাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২:০৩

চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ আবাসিকে অবস্থিত জাতিসংঘ পার্কের নাম পরিবর্তন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে পার্কটির নাম ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংস্কার ও নাম পরিবর্তনের পর এটি শুক্রবার সকালে উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এরপর সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে এই পার্ক। গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গণপূর্ত বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান বলেন, পার্কটির সংস্কারকাজ তিন মাস আগেই শেষ হয়েছে। শুক্রবার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উদ্বোধনের পর পার্কটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। পার্কের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’ রাখার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনের আগেই সেখানে নতুন সাইনবোর্ড টানানো হবে।

২০২২ সালের ৬ জুলাই ‘চট্টগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেন তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী। গণপূর্ত বিভাগের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। কাজ শেষ হয়েছে গত জুলাইয়ে। প্রকল্পটির আওতায় সবুজ চত্বর, হাঁটার পথ ও বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের জন্য খেলাধুলার স্থায়ী সরঞ্জাম ও বড়দের ব্যায়ামের সরঞ্জাম বসানো হয়েছে।

২০১২ সালে জাতিসংঘ পার্কের একাংশে এক একর জায়গার ওপর সুইমিংপুল ও জিমনেশিয়াম নির্মাণ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। অপরিকল্পিতভাবে সুইমিংপুল নির্মাণ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালে পার্ককে এলিট পার্ক লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ বছরের জন্য ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে কমিউনিটি সেন্টার, অতিথি হাউসসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করে। 
আ জ ম নাছিরের এই বাণিজ্যিক উদ্যোগ তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং পাঁচলাইশ আবাসিক সমিতির বাধার মুখে পড়ে আর বাস্তবায়ন হয়নি। পরে পার্ক সংস্কারে প্রকল্প নেয় গণপূর্ত অধিদপ্তর। সিটি করপোরেশনের বাধায় তখন তা বাস্তবায়ন হয়নি। ২০২০ সালে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন খোরশেদ আলম সুজন। তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তরকে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনাপত্তিপত্র দেওয়ার পর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পার্কটিকে সবুজ উদ্যান হিসেবে গড়ে তোলে গণপূর্ত বিভাগ।

আরও পড়ুন

×