কিশোরকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
ফাইল ছবি
ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩:৩২
সপ্তাহখানেক আগে মারা যান খোকা বেপারি। অভাবের সংসারে হাল ধরতে মোহাম্মদ হুসাইনকে (১৩) অটোরিকশা কিনে দেন স্বজনরা। সেই অটোরিকশার জন্য প্রাণ দিতে হলো তাকে। গতকাল শুক্রবার ফরিদপুর শহরের ভাটি লক্ষ্মীপুর থেকে হুসাইনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
হুসাইনের বাড়ি শহরের চর টেপাখোলার ব্যাপারীপাড়ায়। খোকা ও শেফালী বেগম দম্পতির তিন মেয়ে, এক ছেলের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট।
হুসাইনের চাচাতো ভাই ওবায়দুর রহমান জানান, বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগে চাচা মারা যান। এর পর স্বজনরা মিলে উপার্জনের অবলম্বন হিসেবে হুসাইনকে নতুন অটোরিকশা কিনে দেন। সেটি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাড়া মারতে বের হয়ে সে বাড়ি ফেরেনি। তার সন্ধানে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা ভাটি লক্ষ্মীপুরে একটি মহিলা মাদ্রাসার সীমানা দেয়ালের পাশে হুসাইনের লাশ পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হুসাইনকে হত্যা করা হয়। তার অটোরিকশা পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর দুর্বৃত্তরা অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে।
কোতোয়ালি থানার এসআই সনাতন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইম সিন দল ঘটনা তদন্ত করছে। আশা করছি, দ্রুত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে ধরা সম্ভব হবে।
এদিকে গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে আলিপুরে নিজস্ব কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করে ফরিদপুর জেলা ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন। পরে সংগঠনের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান ও সদস্য সচিব শহিদুল শেখের
সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিকশা শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।
সভায় ইউনিয়নের সদস্য মো. মোতালেব, রেজাউল শেখ, বিল্লাল শেখ, শহিদুল ইসলাম,
আব্দুল কাদের আজাদ, নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
- বিষয় :
- হত্যা