ঢাকা রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

সেই ‌শ্রমিক লীগ নেতা মোতালেব গ্রেপ্তার

বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ

সেই ‌শ্রমিক লীগ নেতা মোতালেব গ্রেপ্তার

শ্রমিক লীগের সাবেক নেতা মোতালেব

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৪:৪০

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে শ্রমিক লীগের সাবেক নেতা মোতালেবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার পৌরসভার মাজমের মোড় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রধান আসামি ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় 'চরমপন্থি নেতা' ফজলু নিহত হন।

মোতালেবকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলকুচি থানার ওসি আব্দুল বারেক। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মোতালেবের বিরুদ্ধে চরমপন্থি দলের সদস্য ফজলুসহ দুটি হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। তাঁকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার মোতালেব সাবেক এমপি মমিন মণ্ডল ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সুবর্ণসারা গ্রামে তাঁর বাড়িতে বোমা তৈরি করছিলেন কয়েক ব্যক্তি। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়ার একাধিক অস্ত্র ও ডাকাতি মামলার আসামি ফজলুল হক ফজলু এদিন বোমা বিস্ফোরণে দগ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সাবেক এমপি মমিনের নির্বাচনী সমন্বয়ক আমিনুলের নেতৃত্বে সেখানে বোমা তৈরি করা হচ্ছিল বলে স্থানীয়ভাবে তখন অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ রয়েছে, সাবেক এমপি আমিনুলের প্রভাবে ঘটনাটি বেলকুচি থানার তৎকালীন পুলিশ সদস্যরা কৌশলে আড়াল করার চেষ্টা করেন। সাবেক ওসি আনিসুর রহমান ও সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার জন রানার (চাকরি ছেড়ে কানাডায় রয়েছেন) বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশ হয়।

ঘটনার বছর পার হলেও এ মামলায় এখনও আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়নি। প্রধান আসামি মোতালের এক বছর ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। তবে তিনি আত্মগোপনে থাকা অবস্থায়ই এলাকায় চাঁদাবাজি, মানুষকে হুমকি-ধমকি, সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগ উঠলেও সেভাবে আমলে নেয়নি পুলিশ। অবশেষে পৌরসভার বাসিন্দারা পুলিশকে তথ্য দিয়ে তাঁকে ধরিয়ে দিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই নাজমুল ইসলাম বলেন, 'মামলাটির তদন্ত চলছে। শুনেছি উচ্চ আদালত থেকে আসামি জামিন পেয়েছেন।' আর ডিবির ওসি একরামুল হকের ভাষ্য, তদন্ত ও চার্জশিট জমার বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তার ওপরে। তিনি কখন চার্জশিট দেবেন বা কীভাবে তদন্ত করবেন, এটি তাঁর ওপর নির্ভর করে।
মামলার কারণে সাবেক এমপি মমিন ও চেয়ারম্যান আমিনুল পালিয়ে থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সাবেক সার্কেল অফিসার জন রানার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। কল রিসিভ করেননি সাবেক ওসি আনিসুর রহমানও।

আরও পড়ুন

×