ঢাকা রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

কুড়িগ্রাম হাসপাতালের সামনে নানান দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি সমকাল

 কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩:২০

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার দাবিতে দু’দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার অনশন কর্মসূচি পালন করে এ দাবি জানান তারা। এতে সংহতি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। এ সময় তারা হাসপাতালের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদ জানান। 
অনশনে অংশ নেন শিক্ষার্থী আবরার শাহরিয়ার, আরমান হোসেন, লোকমান হোসেন লিমন, মাহমুদুল হাসান ও নাজমুল হাসান। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের খাবার সঠিকভাবে বণ্টন করা হয় না। সম্প্রতি আবরার শাহরিয়ারসহ তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের চিকিৎসকের প্রাণনাশের হুমকি, ওষুধ প্রতিনিধিদের প্রতিদিন ভিজিট, জরুরি বিভাগে রাতে চিকিৎসকের পরিবর্তে ইন্টার্ন দিয়ে চিকিৎসা দেওয়াসহ নানা অভিযোগ করেন তারা।
অনশনে বসা শিক্ষার্থী আবরার শাহরিয়ার মৌন প্রতিবাদ জানিয়ে কথা না বলে খোলা চিঠিতে নিজের দাবি জানান। তিনি বলেন, হাসপাতালের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় হাসপাতালের একজন চিকিৎসক তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তবে তিনি কারও পদত্যাগ বা বহিষ্কার চান না। চিকিৎসক, ওষুধ, ভালো খাবার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশের সমাধান চান তিনি।
এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির মুখপাত্র জান্নাতুল তহুরা তন্নী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কুড়িগ্রামের স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে দ্রুত তদন্ত কমিটি ও সংস্কার প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজ্য জ্যোতি বলেন, অনিয়ম নিয়ে কর্তৃপক্ষের 
সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনিসহ আবরার ও যোবায়েদ হোসেন হান্নানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা পাওয়া নাগরিক অধিকার। কিন্তু কুড়িগ্রাম হাসপাতালে সিন্ডিকেটের কারণে অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে হেনস্তার শিকার হতে হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছেন জানিয়ে বলেন, দু’দিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিলেও তারা অনশন ভাঙেননি। সরাসরি জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
বিকেলে জেলা প্রশাসকের হয়ে দুই দিনের 
মধ্যে সমস্যা নিরসনের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান। পরে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শাহিনুর রহমান সরদার সেখানে গিয়ে আন্দোলনকারীদের অনশন ভাঙান।

আরও পড়ুন

×