ঢাকা শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫

ছাত্র আন্দোলনে বাপ্পীর শরীরে লাগে ৭ গুলি

ছাত্র আন্দোলনে বাপ্পীর শরীরে লাগে ৭ গুলি

মো. বাপ্পী

 গাজীপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩:৩৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিল নবম শ্রেণির ছাত্র মো. বাপ্পী। গত ৩ আগস্ট পুলিশের ছোড়া গুলি এসে  লাগে তার শরীরে। একটি-দুটি নয়, পরপর সাতটি গুলি লাগে। একটি গুলি বাপ্পীর পেটে লেগে বেরিয়ে যায় নাড়িভুঁড়ি। আন্দোলনের সময় গাজীপুরের শ্রীপুরের বকুলতলা এলাকায় পুলিশের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যাওয়া বাপ্পী অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে মাসখানেক চিকিৎসা করানো হয়, হয়েছে কয়েকটি অস্ত্রোপচারও। কেটে ফেলা 
হয় পায়ুপথ। এখন টাকার অভাবে তার চিকিৎসা প্রায় বন্ধ। 
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার তললী গ্রামের মো. মোজাম্মেল হকের ছেলে বাপ্পী স্থানীয় শ্যামা মডেল একাডেমির ছাত্র। বাপ্পী আবার ফিরে যেতে চায় তার প্রিয় স্কুলে। আবার মাততে চায় খেলার মাঠে, বন্ধুর আড্ডায়।

মোজাম্মেল হক বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই বাপ্পীকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসার পেছনে ৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকার বেশির ভাগই আমার ব্যবসার মূলধন ও স্বজনের কাছ থেকে ঋণ করে নেওয়া। এখন ঋণের টাকার চাপ ও ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে  হচ্ছে। তিনি বলেন, ছেলের শরীরে পচন ধরেছে। অভাবের কারণে ঠিকমতো চিকিৎসা করতে পারছি না। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার টাকা বাকি রয়ে গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাকি টাকার জন্য মামলার হুমকি  দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসার জন্য এখনও সরকারি অনুদান পাইনি। কেউ এসে খোঁজও নেয়নি।
গত শুক্রবার দুপুরে বাপ্পীকে দেখতে তার বাসায় গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। এ সময় বাপ্পীর বাবার হাতে নগদ টাকা তুলে দেন তিনি। এ ছাড়া চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহায়তার আশ্বাস দেন ডা. বাচ্চু। এ সময় বাড়ির মালিক পৌর বিএনপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম প্রিন্স আহত বাপ্পীর ঘর ভাড়া বকেয়া ৭০ হাজার টাকা মওকুফও করেন।
 

আরও পড়ুন

×