ঢাকা বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে শীতার্ত মানুষের ভিড়

ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে শীতার্ত মানুষের ভিড়

বকশীগঞ্জে ফুটপাতের দোকানে গরম কাপড় কিনছেন নিম্ন আয়ের মানুষ সমকাল

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ০০:৩৩

বকশীগঞ্জে পৌষের তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় কাহিল জনজীবন। কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা। নিম্ন আয়ের মানুষ শীতবস্ত্র কেনার জন্য ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, বকশীগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ফুটপাতে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি নানা শ্রেণির মানুষ ভিড় করছেন। বিশেষ করে, মৌসুমভিত্তিক দোকানগুলোতে শীতের কাপড় বেচাকেনা চলছে পুরোদমে। দোকানগুলোতে সব বয়সী মানুষের সোয়েটার, শার্ট, জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি, পায়জামা, ট্রাউজার, কানটুপি, মাফলার, ব্লেজারসহ সব ধরনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতারা দাম যাছাই করে পছন্দমতো গরম কাপড় কিনছেন। প্রকার ভেদে ১০০ টাকা থেকে ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেসব কাপড়। দাম কম হওয়ায় ভ্যানচালক, অটোরিকশাচালক, হোটেল শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ গরম কাপড় কিনতে ছুটছেন ফুটপাতের দোকানে।
উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাত থেকে কাপড় কিনছিলেন প্রায় ৬০ বছর বয়সী হুরমুছ আলী। ৯০০ টাকায় স্ত্রী ও তিন সন্তানের জন্য গরম কাপড় কিনেছেন তিনি।
ক্রেতা হাজিরন বেগম জানান, দুই ছেলে ও নাতি-নাতনির জন্য গরম কাপড় কেনার জন্য এসেছেন। তবে এবার দাম একটু বেশি।
ফুটপাতের দোকানে শীতের পোশাক কিনতে আসা তোফাজ্জল মিয়ার ভাষ্য, যেভাবে শীত বেড়েছে। সন্ধ্যার পর বের হওয়াই মুশকিল। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে, মনে হয় বরফ পড়ছে। তাই ২৫০ টাকা দিয়ে নিজের জন্য একটি জ্যাকেট নিয়েছেন এবং ৩৭০ টাকা দিয়ে দুই বাচ্চার জন্য শীতের পোশাক কিনেছেন।
ফুটপাতের দোকানদার হারুন মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। শীত বেশি পড়লে ব্যবসা অনেক ভালো হয়। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেচাকেনাও বাড়ছে। বড়দের জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড় পাওয়া যায় তাঁর দোকানে, সেগুলোর দাম তুলনামূলক কম।’
শীতবস্ত্র বিক্রেতা সফিকুল ইসলাম জানান, ছড়িয়ে রাখা কাপড়গুলো দেখে দেখে পছন্দ অনুযায়ী কিনে নিয়ে যান ক্রেতারা। সব বয়সী মানুষের পোশাক পাওয়া যায়। নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর পাশপাশি সচ্ছল মানুষও এসব পোশাক কিনে থাকেন। শীত বাড়ায় বিক্রি বেড়েছে।
বকশীগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম তালুকদার শাকিল বলেন, কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই বললেই চলে। ফলে কনকনে শীতে নাকাল এ জনপদের মানুষ। গ্রাম এলাকার মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। চাহিদা বেড়েছে গরম কাপড়ের। তবে এ সুযোগে কোনো ব্যবসায়ী যেন বাড়তি দাম না নিতে না পারে, সে জন্য বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

×