ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সভাপতি পদ নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ

সভাপতি পদ নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ

ছবি: প্রতীকী

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১:৪৬

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি পদে প্রার্থিতা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। রোববার শাহপুর গ্রামের শান্তির বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনের লক্ষ্যে শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা হয়। সভায় সভাপতি পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করার সময় শাহ আলম ও সেকান্দর আলী মণ্ডলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহ আলমের লোকজন সেকান্দর ও তাঁর ছেলে বোরহানকে মারধর করেন। এর জের ধরে রোববার শাহপুর শান্তির বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হন।

আহতরা হলেন– মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শাহ আলম সরকার, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরুজ মিয়া, তামিম হোসেন, সেকান্দর আলী মণ্ডল, কিবরিয়া ও বোরহান আহমেদ। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে শাহ আলম বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে সেকান্দর ও তাঁর লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাকে ও আমার ভাতিজাকে গুলি করে। বড় ভাইকে মারধর করেছে। আমি ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।’

সেকান্দর আলী মণ্ডল বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আসছি। ওয়ার্ড কমিটির সভায় আমি সভাপতির পদে শাহ আলমের ভাইয়ের বিপরীতে প্রার্থী হলে উপস্থিত নেতাকর্মীর সামনে তারা আমার ওপর হামলা চালায় এবং আমার ছেলেকে মারধর করে। আজকেও (রোববার) হামলা চালিয়ে আমাকে, আমার ছেলে ও আমার শ্যালককে আহত করেছে। আমার শ্যালককে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলাম মন্টুর ভাষ্য, ওয়ার্ড সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আগ্রহীর নাম জানতে চাওয়া হয়। এতে সভাপতি পদে প্রার্থী হন শাহ আলমের ভাই ফিরুজ ও সেকান্দর আলী মণ্ডল। এ সময় সেকান্দরের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন শাহ আলম। কেন সেকান্দর প্রার্থী হলেন, তা নিয়ে মারামারি হয়। পরে উভয় পক্ষকে শান্ত করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

তিতাস থানার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ জানান, শাহপুর গ্রামে মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


 

আরও পড়ুন

×