ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

চেয়ারম্যানের কক্ষের তালা খোলেনি, দুর্ভোগ মানুষের

চেয়ারম্যানের কক্ষের তালা খোলেনি, দুর্ভোগ মানুষের

চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলছে-ি সমকাল

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩:০৩

প্রধান ফটক খোলা হলেও চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। নিরাপত্তা শঙ্কায় আসেন না চেয়ারম্যান। বাইরে ফাইল স্বাক্ষরে নিষেধ রয়েছে প্রশাসনের। এতে গত রোববার থেকে সেবা বন্ধ রয়েছে কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি)। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, তালা দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। নিরাপত্তার অভাবও রয়েছে। তিনি বাইরে থেকে কার্যক্রম চালাতে চাচ্ছেন। কিন্তু সচিব ফাইলপত্র দিচ্ছেন না। এতে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। তিনি উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, পরিষদ চত্বরে সুনসান নীরবতা। চেয়ারম্যানের কক্ষের দরজায় ঝুলছে তালা। বারান্দায় কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সদস্য বসে আছেন। নিজ কক্ষে আছেন পরিষদের সচিব। চেয়ারম্যানের অভিযোগ স্বীকার করে সচিব রেজাউল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান না থাকায় মানুষ এসে ফিরে যাচ্ছেন। ইউএনওর নির্দেশনা না থাকায় ফাইল বাইরে দেওয়া হয়নি। 
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত শনিবার রাতে পরিষদ চত্বরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কেটে স্লোগান দেওয়া হয়। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার নেতৃত্বে এ আয়োজন করা হয়েছিল। পরে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া হলে এর প্রতিবাদে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পরিষদে তালা দেন।
গত রোববার বিক্ষোভ মিছিল করে পরিষদ থেকে সচিব, গ্রাম পুলিশ ও সেবাপ্রত্যাশীদের বের করে দেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় পরিষদ ভবনের প্রধান ফটকে তালা দেন তারা। খবর পেয়ে সোমবার বিএনপির নেতাকর্মীর সঙ্গে বৈঠক করেন ওসি মো. সোলায়মান শেখ। পরে তালা খুলে দেন নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় বিলকাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়াসিম খান বলেন, ‘পরিবারসহ জাপানে যাব। পাসপোর্ট করার জন্য পরিষদে নাগরিক সনদ আনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেবা না পেয়ে ফিরে এসেছি। বিভিন্ন প্রয়োজনে শত শত মানুষ পরিষদে এসে ফিরে যাচ্ছে।’
ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক প্রান্ত বলেন, সবারই দুর্ভোগ হচ্ছে। তবুও আওয়ামী লীগের দোসরদের আর সহ্য করা হবে না। একই ধরনের কথা বলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম আসাদ। তাঁর ভাষ্য, নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি মানার বিষয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর ফটকের তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। ।
পরিষদে নিরাপত্তার ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন ওসি মো. সোলায়মান শেখ। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, পরিষদে এসে নিয়মের মধ্যে থেকে সেবা দিতে বাধা নেই চেয়ারম্যানের।

আরও পড়ুন

×