হবিগঞ্জ বিএনপি
মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ দুই নেতার পদ স্থগিত

লোগো
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ০২:১১
বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচিত ইস্যুতে পরিণত হয় ৯ হত্যাকাণ্ড মামলা। এই মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে স্থানীয় দুই বিএনপি নেতার দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জিকে গউছ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুল হোসেন মারুফ ও সাধারণ সম্পাদক নকীব ফজলে রকিব মাখনের দলীয় পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
জানা গেছে, উল্লিখিত মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে আওয়ামী নেতাকর্মীর কাছ থেকে টাকা আদায় করছিলেন মারুফ ও মাখন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার ৯ নম্বর পুকড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লুৎফুর রহমান জেলা বিএনপিসহ ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। যার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা বিএনপির ওই দুই শীর্ষ নেতার দলীয় পদ স্থগিত করা হয়।
এদিকে মারুফ ও মাখনের পদ স্থগিতের পর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আল হাদিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই চিঠিতে জিকে গউছ অভিযোগের বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের পাশাপাশি যথাযথ সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের জন্য জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, কামাল উদ্দিন সেলিম ও আব্বাস উদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। একই সঙ্গে নিরপেক্ষতার অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য সংগ্রহ করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন আগামী এক মাসের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুল হোসেন মারুফ ও সাধারণ সম্পাদক নকীব ফজলে রকিব মাখন মামলা বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। ৯ হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার আসামি করার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীর কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পুকড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লুৎফুর রহমান জানান, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় অনেক অভিযোগ রয়েছে। মামলার ভয় দেখিয়ে তারা বাণিজ্য করেছেন। উপজেলাসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
এদিকে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সদ্য স্থগিতকৃত উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুল হোসেন মারুফ ও সাধারণ সম্পাদক নকীব ফজলে রকিব মাখন।