ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সৎভাইদের ফাঁসাতে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

সৎভাইদের ফাঁসাতে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি: প্রতীকী

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ | ০৫:৩৭

শেরপুরে বাকপ্রতিবন্ধী শিশু সাদিয়াকে তার বাবা জমাদার আলী কুপিয়ে হত্যা করেছে। কামারের চর বাজারের একটি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে এ হত্যার রহস্য পরিষ্কার হয়েছে। মেয়ে হত্যার দায়ে মা মারুফা বেগম স্বামী জমাদারের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার কামারের চর ইউনিয়নের পয়স্তিরচরে একটি আলু ক্ষেত থেকে কিশোরী সাদিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি সাহাব্দীরচর দশআনীপাড়া কাঠাইল বাড়ির মো. জমাদারের মেয়ে সাদিয়ার। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় সৎভাই আব্দুল আজিজ ও আব্দুল হালিম জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাদিয়াকে হত্যা করেছে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে মেয়েকে নিয়ে বাবা জমাদার কামারের চর বাজারের ভেতর দিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও বের হলে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। মেয়ের মা প্রথমে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও পুলিশের জেরায় স্বীকার করেন সাদিয়া আক্তারকে নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে বের হয় তার বাবা।

কামারের চর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ঘটনার দিন সাদিয়াকে তার বাবা ক্ষেতের দিকে নিয়ে যান এটা অনেকেই দেখেছেন। শুধু তাই নয় এ সময় জমাদারের হাতে একটি ধারালো দা ছিল। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি যে বাবা তার মেয়েকে হত্যা করবে। সৎভাইদের ফাঁসাতেই মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঘটনার পর থেকে পুলিশ জমাদারকে ধরতে তৎপরতা চালায়। এর মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জমাদার। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আলমগীর মাহমুদ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক বিন হাসান বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে তারা এলাকার মানুষের কাছে শুনেছেন জমাদার আলী দুষ্ট ও খারাপ প্রকৃতির লোক। ঘটনার দিন সকালে  অনেকেই দেখেছেন দাসহ মেয়েকে নিয়ে ক্ষেতের দিকে যাচ্ছে জমাদার। এরপরই মেয়ের লাশ আলু ক্ষেতে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, মানুষের কথার সত্যতা মেলে একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে।


 

আরও পড়ুন

×