স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা
নাইন এমএম পিস্তল দিয়ে গুলি করা হয় টিপুকে
গোলাম রব্বানী টিপু
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২:৩৮ | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩:৪৯
কক্সবাজারে অবস্থানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পেশাদার একটি অপরাধী চক্র ঠান্ডা মাথায় খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপুকে হত্যা করেছে। কক্সবাজার সৈকতের নির্জন এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গুলিটি ছিল নাইন এমএম পিস্তলের। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। এদিকে কেউ কেউ মনে করছেন, ব্যবসায়িক বিরোধে প্রশিক্ষিত শুটার দিয়ে টিপুকে করা হয়েছে।
এদিকে টিপু হত্যার ঘটনায় করা মামলায় শনিবার দু’জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা হলো– খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসান ইফতেখার এবং কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার বাসিন্দা মেজবাউল হক ভুট্টু।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, ইফতেখার ও মেজবাউলকে দুপুরে আদালতে তোলা হয়। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। তবে আবেদনের শুনানি হয়নি।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গোলাম রব্বানী টিপু আত্মগোপন করেন। ৮ জানুয়ারি রাত ১১টায় গ্রিন লাইন পরিবহনে করে কক্সবাজার আসেন। এর পরদিন তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, ব্যবসায়িক কাজে প্রায় সময় কক্সবাজারে অবস্থান করতেন টিপু। তিনি মহেশখালীর বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে শেয়ারে লবণ চাষ ও চিংড়ি ঘেরের ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর সখ্য ছিল। থানায় করা মামলার এজাহারে কক্সবাজারে টিপুর চিংড়ি ঘেরের ব্যবসা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই সুস্ময় দাশ গুপ্ত সমকালকে বলেন, ‘তদন্তে অনেক কিছু শোনা যাচ্ছে। নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এখন কিছু বলতে পারছি না।’
র্যা ব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন সমকালকে বলেন, মাথায় গুলি করে টিপুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ইফতেখার ও মেজবাউল সন্দেহজনক আচরণ করেছেন এবং ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। টিপুকে লক্ষ্য করে যে গুলি ছোড়া হয়েছিল, তা নিখুঁতভাবে মাথায় বিদ্ধ হয়। অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কেউ এই গুলি ছুড়েছেন। আপাতত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে, গুলিটি ছিল নাইন এমএম পিস্তলের। এটি কাদের এবং কোথা থেকে এসেছে, তা বের করার চেষ্টা চলছে। আত্মগোপনে থাকা তরুণীকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যার রহস্য পরিষ্কার হতো।
- বিষয় :
- কক্সবাজার