এখনও একটি পণ্যবাহী কার্গো আরাকান আর্মির কবজায়

আরাকান আর্মির কবজা থেকে ফেরত আসা কার্গো। ছবি-সমকাল
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯:১৪
চারদিন পর মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির হেফাজত থাকা দুটি পণ্যবাহী কার্গো বোট কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে ফেরত আসলেও এখনও একটি পণ্যবাহী বোট ছাড়েনি। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার সকাল ১০টায় আটক কার্গোর মধ্য দুটি বোট বাংলাদেশ-মিয়ানমার নাফ নদের জলসীমা নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে পৌঁছে। তবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আরও একটি পণ্যবাহী বোট আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে। সেখানে ৩০ হাজার বস্তা মালামাল রয়েছে।
ফেরত আসা দুটি বোটে ২৭ হাজার ৭২২ বস্তা মালামাল রয়েছে। সেগুলো বন্দরের কার্যক্রম শেষে খালাসের প্রস্তুতি চলছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা দুটি পণ্যবাহী কার্গো বোট ঘাটে পৌঁছেছে। এখনও একটি পণ্যবাহী বোট তাদের হেফাজতে রয়েছে। ফেরত আসা বোট দুটির কার্যক্রম শেষে মাল খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
জানতে চাইলে টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ‘তল্লাশির নামে চারদিন পর দুটি পণ্যবাহী কার্গো বোট ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি। এখনও একটি পণ্যবাহী বোট সেখানে রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা টেকনাফে ব্যবসা গুটিয়ে নেবে। ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে সেজন্য সরকারের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।’
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেড় মাস পর গত শনিবার ইয়াংগুন থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ীর পণ্যবাহী কার্গো বোট টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নাফ নদের মোহনায় সে দেশের জলসীমানায় নাক্ষ্যংকদিয়া নামক এলাকায় তল্লাশির নামে পণ্যবাহী তিনটি ট্রলার আটকে দেয় আরাকান আর্মি। এর মধ্যে আচার, শুঁটকি, সুপারি, কপিসহ ৫০ হাজারের বেশি বস্তা পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শওকত আলী, ওমর ফারুক, মো. আয়াছ, এমএ হাসেম, মো. ওমর ওয়াহিদ, আবদুর শুক্কুর সাদ্দামসহ অনেকের। সর্বশেষ সোমবার সকালে সাতুরু এবং এমবি হারিকিউ লেছ নামে দুটি পণ্যবাহী বোট ফেরত এসেছে। সেখানে ২৭ হাজার ২২২ বস্তা মালামাল রয়েছে।
এ বিষয়ে আমদানিকারক কায়েছ এন্টারপ্রাইজের মালিক নুরুল কায়েছ সাদ্দাম বলেন, ‘আরাকান আর্মির হাত থেকে দুটি পণ্যবাহী কার্গো বোট ফেরত এসেছে। আরও একটি বোট তাদের হেফাজতে রয়েছে। আমাদের সেখানেও বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। এমনিতে রাখাইনে যুদ্ধের পর আমাদের ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। তার উপর এ ধরনের ঘটনা ব্যবসায়ীরা বিপাকে রয়েছে। ফলে এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সবার এগিয়ে আসা উচিত।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘পণ্যবাহী দুটি বোট ফেরত এসেছে। এ বিষয়ে আরও খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’
- বিষয় :
- আরাকান আর্মি
- ট্রলার