ঢাকা শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চাঁদা দাবিতে কারখানায় যুবদল কর্মীর তালা

চাঁদা দাবিতে কারখানায় যুবদল কর্মীর তালা

আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের মনোহরদী এলাকায় পাঁচ দিন তালাবদ্ধ কারখানা সমকাল

 আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ০১:১২

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চাঁদা না দেওয়ায় টেক্সটাইল কারখানায় পাঁচ দিন ধরে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদলের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। 
জানা যায়, বন্ধ টেক্সটাইল কারখানার তালা খুলতে গিয়ে কয়েকবার বাধা ও হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে মালিকপক্ষকে। এমনকি এ ব্যাপারে থানায় যাতে অভিযোগ করতে না পারে, সে জন্য কারখানা মালিকের আশপাশে পাহারাসহ নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের মনোহরদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য পলক পাল জানান, মনোহরদী গ্রামে তাদের বাড়ির পাশে তাঁর বাবা পল্টন পাল, কাকা সেবা পাল ও আকাশ পালের মালিকানাধীন একটি টেক্সটাইল মিল রয়েছে। এই মিলে ৬০টি মেশিন। মিল চালাতে গিয়ে তাদের বেশ কিছু ঋণ হওয়ায় তা পরিশোধ করতে মিল থেকে ২৫টি মেশিন বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে প্রায় ১৫ লাখ টাকায় মেশিনগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়। গত বুধবার ডেলিভারি দেওয়ার জন্য টেক্সটাইল মিল থেকে মেশিন বের শুরু করলে স্থানীয় যুবদল কর্মী ইমন, ফজলুল হক ও আবুল কালামের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল এসে মেশিন বিক্রির টাকা তাদের হাতে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা ওই টেক্সটাইল মিলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করলে তাদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে শাসিয়ে যায় তারা।
তালা মারার বিষয়টি অস্বীকার করে যুবদল কর্মী আবুল কালাম বলেন, কারাখানায় দেনা-পাওনা নিয়ে এলাকায় ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ায় তিনি সেখানে যান। তাঁর বয়োজ্যেষ্ঠরা এসে কী করেছেন, তা তিনি বলতে পারবেন না।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জুয়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি বা এর অঙ্গ সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব বা কোনো অপরাধ করলে দল তার দায় নেবে না। তার দায় তাকেই নিতে হবে।
এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার বলেন, মনোহরদী গ্রামে যদি কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে কারখানায় তালা মেরে থাকে, তাহলে আড়াইহাজার থানার ওসি যেন এখনই পদক্ষেপ নেন। দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান তিনি।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজখবর নিয়ে তদন্ত করে এ বিষয়ে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
আড়াইহাজারের ইউএনও সাজ্জাত হোসেন বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। লিখিতভাবে তাঁকে জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×